নিউজ ডেস্ক:
দেশের সুরক্ষায় ও কাস্টমস সেবা আরো উন্নত করতে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে বিমানে আসা যাত্রীদের অগ্রিম তথ্য দেওয়াসহ বাংলাদেশকে তিন ধরনের সহায়তা দেবে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (ডব্লিউসিও)।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে ডব্লিউসিও সিকিউরিটি প্রোজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান এসব তথ্য জানান।
নজিবুর রহমান বলেন, ডব্লিউসিও বাংলাদেশকে মূলত তিন ধরনের সহায়তা দেবে। প্রথমত, তারা বিমানে আসা যাত্রীদের তথ্য দেবে; দ্বিতীয়ত, ব্যবসায়িক ক্ষেত্র সম্প্রসারণ ও বিস্ফোরক দ্রব্য রোধে কাস্টমসকে প্রশিক্ষণ এবং সর্বশেষ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আমদানি ও রপ্তানি সম্প্রসারণে কাস্টমসকে সহায়তা দেবে। সর্বশেষ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি প্রতিরোধে কাস্টমসকে সহায়তা দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি আরো বলেন, কাস্টমস সেবা আরো উন্নত ও বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে আসা যাত্রীদের সব তথ্য ডব্লিউসিও দেবে কাস্টমসকে। এর ফলে যেকোনো যাত্রী সম্পর্কে আগেই সব তথ্য-উপাত্ত সংগৃহীত থাকবে। ফলে কোনো যাত্রী দেশের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে চাইলে খুব সহজেই তাকে শনাক্ত করা যাবে। শুধু তাই নয়, ডব্লিউসিও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখতে কাস্টমসকে প্রশিক্ষণ দেবে। এতে দেশের সীমান্ত রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কাস্টমস চোরাচালান রোধে আরো শক্তিশালী হবে।
অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের সেক্রেটারি জেনারেল এইচ মি. কুনিও মিকোরিয়া বলেন, সমস্যা সমাধানে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। বাংলাদেশে কাস্টমসের আওতা বড়। কাস্টমস চাইলে যেকোনো কর্মকাণ্ডে সফল হতে পারে। বিশেষ করে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আমরা কাস্টমসকে সহায়তা দেব। আমরা ১৭টি দেশে কাজ করছি।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশিষ বসু, নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ও বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার মতিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।