নিউজ ডেস্ক:
কে না জানে, বৈশাখের দাবদাহ আর মনপ্রাণ হু হু করা মাতাল বাতাস কানাডায় এই মুহূর্তে নেই। কে না জানে, এ প্রান্তের মানুষগুলো কিছুতেই বৈশাখ পালনের জন্য সরকারি ছুটি পাবে না, বাংলা সংস্কৃতি যেখানে হৃষ্টপুষ্ট হয় সেই সাংস্কৃতিক পরিবেশ পাবে না। জীবনযাপন আর আবহাওয়া বৈরী বলেই কি মনটা আরও বেশি আকুপাকু করতে থাকে ফেলে আসা দেশের বৈশাখের জন্য!
তাই এরা শাশ্বত গ্রামের বৈশাখী মেলাকে ছোট্ট করে হলেও এ প্রজন্মের শিশু-কিশোরের জন্য রূপকভাবে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছে। মেলা মেলা খেলার এ গ্রাম্য বাজারে বিক্রি হয়েছে চুড়ি, মুরালি, পিঠা আর পুতুল। বিকিকিনিও জমে উঠেছে কিছুক্ষণের জন্য!
‘মন পবনের নাও’ শিরোনামে লন্ডন, অন্টারিও ছোট্ট বাঙালি কমিউনিটি এবছর বাংলা নতুন বছর ১৪২৪কে বরণ করে নিয়েছে। গত ১৬ এপ্রিল কমিউনিটির বাঙালিরা এ উপলক্ষ্যে বৈশাখের চিরন্তন বাঙালি সাজে, খাদ্যসম্ভারে ও সাংস্কৃতিক আয়োজনে শহরের সানিংডেল এলাকায় বৈশাখকে বরণ করে নেয়।
আয়োজনের শুরুতেই ছোট ছোট বাচ্চারা বিক্রির পসরা সাজিয়ে বসে পরে গ্রাম্য হাটের অনুকরণে! অন্যরা ভিড় করে, দরদাম করে কিনে নেয় মুড়কি-মুড়ি, চুড়ি আর বাঁশি! মেলা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ছোট্ট রোদেলার নাচ ‘সোহাগ চাঁদ বদনী’ দিয়ে শুরু হওয়া এ আয়োজন। এরপর একে একে গান-কবিতায় জমে ওঠে। তানিয়া রুবাইয়াৎ এর পরিচালনায় শফিউর রহমান ‘ছিন্ন পাতার সাজাই তরনী’, কাজী আফজাল আহমেদ কপিল ‘লোকে বলে বলেরে ঘরবাড়ি ভালা না আমার’, সুলতানা মাহমুদা ‘এক জোনাকি, দুই জোনাকি, তিন জোনাকি ওড়ে’, রায়হান উদ্দিন ‘মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে’, বানু আক্তার ‘হাত বান্দিলাম, পাও বান্দিলাম’ এবং ছোট্ট সাবিন ‘প্রজাপতি প্রজাপতি কোথায় পেলে ভাই’ গানে অংশ নেন।
এছাড়া ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’ কবিতা আবৃত্তি করেন ইশরাত লতা, ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ আবৃত্তি করেন তানিয়া রুবাইয়াৎ। ছোট্ট অরিত্র আবৃত্তি করে সুকুমার রায়ের ‘বর্ষা গেলো বর্ষা এলো’ এবং তাহসান আবৃত্তি করে ‘আমি হব সকাল বেলার পাখি’।