নিউজ ডেস্ক:
কাতার সংকট সমাধানের শর্ত না মানায় দেশটির ওপর আরোপিত অবরোধ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। এর আগে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশরসহ আরও কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অন্যান্য সম্পর্ক ছিন্ন করে দেশটির সামনে ১৩টি শর্ত রাখে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাতার সেসব শর্ত মেনে না নেয়ায় সৌদি আরব জানিয়ে দিয়েছে, কাতারের ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এ ব্যাপারে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয়ের টুইটারের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, সৌদি মন্ত্রী আদেল আল জোবায়ের কুয়েতের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল সাবেহ’র কাছ থেকে দোহার সরকারী জবাব জেদ্দায় গ্রহণ করেন।
অন্যদিকে, কাতার সোমবার সৌদি আরব ও তার মিত্রদের দেয়া শর্তের জবাবে বলেছে ‘শর্ত অবাস্তব ও বাস্তবায়নযোগ্য নয়’। কাতারের জবাব গ্রহণের পর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টুইটে বলে, ‘যথাসময়ে কাতারের জবাব পাওয়া গেছে। ‘
প্রসঙ্গত, সৌদি জোটের অভিযোগ, কাতার মুসলিম ব্রাদারহুডসহ কট্টর ইসলামপন্থী একাধিক সংগঠনকে মদদ দেয়। আল-জাজিরা টেলিভিশন চ্যানেলও এই কট্টরপন্থীদের সহযোগিতা করে। এ ছাড়া আঞ্চলিক শত্রু হিসেবে পরিচিত ইরানের সঙ্গেও দোহার সুসম্পর্ক আছে।
আর তারেই জের ধরে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর গত ২২ জুন তাদের ১৩টি দাবি মেনে নেয়ার জন্য কাতারকে ১০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। রোববার তাদের পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়। সোমবার তা আরো ৪৮ ঘন্টা বাড়ানো হয়।
সৌদি জোটের দাবিগুলোর মধ্যে দোহাকে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার, সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ, ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস ও আমিরাতে তুরস্কের সামরিক ঘাঁটি বন্ধ অন্যতম।
এরই মধ্যে, সৌদি ও তার জোট সদস্যরা কাতারের সাথে বিমান, সমুদ্রসীমা ও স্থল পথের সকল যোগাযোগ বিছিন্ন করেছে। কাতারের নাগরিকদের জোটভুক্ত দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। কাতারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তবে, কাতার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।