নিউজ ডেস্ক:
কম্বোডিয়া ছিল হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জন্য একটি জেগে উঠার মতো ঘটনা। এই কম্বোডিয়া থেকেই প্রথম সন্তান ম্যাডক্সকে দত্তক নেন তিনি। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে অভিনেত্রী বলেন, “আমি এই দেশে এসে এখানকার মানুষের প্রেমে পড়ে যাই। আমি যখন দেশটির ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি, তখন মনে হয়েছিল এই বিশ্ব সম্পর্কে আমি কত কম জানি”।
জোলি বলেন, “এই দেশটি আমার জন্য জাগরণ। আমি সবসময় এই দেশটির কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো, আমার মনে হয় না দেশটি আমাকে যা দিয়েছে তার সমপরিমাণ আমি ফেরত দিতে পারবো”।
জোলির নতুন সিনেমা ‘ফার্স্ট দে কিল্ড মাই ফাদার’ প্রদর্শনের পূর্বে তিনি বিবিসির সাথে কথা বলেন। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন জোলি নিজে।
তিনি আশা করছেন ওই সময়ের মানসিক পীড়ন সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করতে কম্বোডিয়ার মানুষকে সাহায্য করবে এই সিনেমাটি। যুদ্ধ সম্পর্কে বলতে সাহায্য করবে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত জোলি প্রথম কম্বোডিয়া সফর করেন ২০০১ সালে। সেসময় ‘লারা ক্রফ্ট: টম্ব রাইডার’ সিনেমার শুটিং করেন দেশটিতে। পরে সেখান থেকেই প্রথম সন্তান ম্যাডক্সকে দত্তক নেন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ব্রাড পিটের সাথে ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর এই প্রথম জনসম্মুখে এলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন “এটা ছিল খুব কঠিন। আমার পুরো পরিবার কঠিন সময়ের ভিতর দিয়ে গেছে। আমার লক্ষ্য আমার সন্তানেরা, আমাদের সন্তানেরা। আমরা সব সময় একটা পরিবারের মতই থাকবো। ”
২০০৪ সাল থেকে জোলি এবং পিট একসঙ্গে থাকতেন কিন্তু বিয়ে করেন ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে।