নিউজ ডেস্ক:
চরম অনিশ্চয়তা ও বিতাড়নের হুমকির মুখে ৩৪ টি দেশে দিন কাটাচ্ছেন দেড় লাখ বাংলাদেশি। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে ৯৩ হাজার ও সৌদি আরব থেকে ৫০ হাজার বাংলাদেশি ফিরবে।
এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ বাকি ৩২টি দেশ থেকে সাত হাজার বাংলাদেশি দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তারা এখন চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরাতে সহসাই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এ চুক্তি সই হওয়ার পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে হবে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার বাংলাদেশি ফিরতে পারেন। কারণ গত জুনে সৌদি সরকারের বিশেষ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এরই মধ্যে ৪৫ হাজার বাংলাদেশি তাদের ট্রাভেল ডকুমেন্ট অর্থাৎ পাসপোর্ট যোগাড় করেছেন। এর আগে ২০১৩ সালে একই ধরনের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বৈধ হওয়ার সময় বেঁধে দেয় সৌদি রাজকীয় সরকার। ওই সময় সৌদিস্থ বাংলাদেশ মিশন থেকে আট লাখ বাংলাদেশি কনস্যুলার সেবা গ্রহণ করেন। ৩১ হাজার বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসে। এদিকে বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে সৌদির বিভিন্ন জেলখানায় ৮০০ বাংলাদেশি আটক রয়েছে। এসব বাংলাদেশি মানবেতর জীবনযাপন করছে। এর আগে ২০১৩ সালেও একবার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে ভারত, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, গাম্বিয়া ও নাইজেরিয়াসহ ৩৪টি দেশ থেকে ১২ হাজার ২০৬ জন ফিরে এসেছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগ স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশির জাতীয়তা যাচাই করেছে। নতুন করে কাউকে ফেরত আনলেও জাতীয়তা যাচাই করা হবে।