নিউজ ডেস্ক:
পোয়ারায় ধাতব মুদ্রা ছুঁড়ে দিলে সৌভাগ্যের দরজা খুলে যায়। প্রচলিত এই বিশ্বাসের খেসারত দিতে হল সামুদ্রিক কচ্ছপকে। থাইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তের শহর শ্রী রাচার এক ফোয়ারায় বাস করত ২৫ বছেরের একটি স্ত্রী কচ্ছপ। তার নাম দেওয়া হয় ‘ব্যাঙ্ক’।
ভাগ্য ফেরাতে ও আয়ু বাড়াতে পর্যটকদের মধ্যে ফোয়ারার পানিতে ধাতব মুদ্রা ছুঁড়ে দেওয়ার প্রাচীন রীতি বহাল রয়েছে। বিশেষ করে, ফোয়ারার বাসিন্দা কচ্ছপদের তাক করে মুদ্রা ছুঁড়তে পারলেই না কি কেল্লা ফতে, এমনই বিশ্বাস স্থানীয়দের। ক্রমে ভিনদেশি পর্যটকদের মধ্যেও তা ছড়িয়ে যায়।
এদিকে ফোয়ারার পানিতে ফেলা মুদ্রাগুলি সেখানকার বাসিন্দা কচ্ছপরা টপাটপ গিলে ফেলে। এ ভাবে ধীরে ধীরে ব্যাঙ্কের পেটে জমতে থাকে মুদ্রার স্তূপ, যার মোট ওজন দাঁড়ায় ৫ কেজি। মুদ্রার ভারে ব্যাঙ্কের দেহের ভেন্ট্রাল শেলে ফাটল ধরে, যার জেরে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে মারাত্মক সংক্রমণ। সোমবার ব্যাঙ্ককের পাঁচজন শল্যচিকিৎসক তার দেহে ৪ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে ওই মুদ্রা উদ্ধার করেছেন। গুণে দেখা গেছে, সব মিলিয়ে ৯১৫টি মুদ্রা তার পেটে জমে ছিল। মুদ্রাগুলির অধিকাংশই বিবর্ণ হয়ে ক্ষয়ে গেছে। সেই সঙ্গে মিলেছে ২টি মাছ ধরার বঁড়শি।