চাঁদপুরের কচুয়ায় বোরোধান চাষাবাদের প্রস্তুতি হিসেবে বীজতলা তৈরি ও পরিচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নে মোট ১৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৪৫ হেক্টর জমি। ইতিমধ্যে কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো ধানের আবাদকে লক্ষ করে বীজতলা তৈরি করেছেন অনেকে কৃষক। আবার অনেকেই বীজতলা পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকাগুলোতে কৃষকদের বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কর্মব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। কেউ বীজতলায় সেচ দিচ্ছে, কোদাল দিয়ে বীজতলা চাষ করছে, অনেকেই মই দিয়ে বীজতলা সমান করছেন।
আবার কোনো কোনো চাষি অঙ্কুরিত বীজ ধানগুলো বীজতলায় ছিটাচ্ছে পরম যত্নে। কৃষক স্বপন হালদার,এমরান মোল্লা ও আলামিন জানায়, আগে বীজ বপন করতে পারলে ধানের চারা সতেজ সুন্দর হয়। আগাম বীজতলার চারা রোপণ করলে ধানের ফলন ভালো হয়। আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে বোরো ধানের আবাদ শুরু হবে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবছরও ভালো ফলনের আশা করা যাচ্ছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে এখন হল বীজতলা তৈরিতে উৎকৃষ্ট সময়। অধিকাংশ কৃষকরাই বীজতলা তৈরি করে ফেলেছে। আশা করছি কিছুদিন মধ্যে বোরো ধানের চারা রোপন করা শুরু হবে। বীজতলা পরিচর্চা ও রোপনে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।