নিউজ ডেস্ক:সবকিছুই ঠিকঠাক। রাতের আধারে নাবালিকা কন্যার বাড়িতে হাজির বর ও তাঁর সঙ্গীরা। কাজী আসার অপেক্ষায় বিয়ে বাড়ির সবাই। এরই মধ্যে কাজীর পরিবর্তে হাজির পুলিশ। ভেস্তে গেল সব আয়োজন। বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল ৮ম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। মুচলেকা দিয়ে রক্ষা পেল বর ও কনে পক্ষ।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের আরজুল্লাহ মিয়ার মেয়ে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রীর পারিবারিকভাবে বিয়ে ঠিক হয় দামুড়হুদা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাদশা মল্লিকের ছেলে পারভেজ মল্লিকের (১৯) সঙ্গে। গতকাল শুক্রবার রাত আটটার দিকে সব প্রস্তুতি শেষে বিয়ের উদ্দেশ্যে বরপক্ষ হাজির হয় কনের বাড়িতে। খবর দেওয়া হয় কাজীকে। কিন্ত বিধিবাম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খানের নির্দেশে কাজী আসার আগেই বিয়ে বাড়িতে হাজির হয় হিজলগাড়ী ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই প্রভাস চন্দ্র সাহা, টুআইসি এএসআই আনিসুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ সময় তাঁরা বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে দুই পক্ষকেই বোঝান। পরবর্তীতে বর ও কনেপক্ষ আর বাল্যবিবাহ সংগঠিত করবে না মর্মে মুচলেকা প্রদান করে রক্ষা পায়।