প্রকৃতিতে এখন হেমন্তকাল। পালা বদল করে এরপরই আসবে শীতকাল। দেশে শীতের মৌসুমি বায়ু এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে এখনই জাঁকিয়ে শীত চলে আসার সম্ভাবনা নেই।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে আবহাওয়ার স্বাভাবিক গতি-প্রকৃতি কিছুটা পাল্টে গেছে। বর্ষাকাল কিংবা শীতকালের সময় এবং ধরন ঠিক আগের মতো হচ্ছে না।
তিন মাসের (নভেম্বর-ডিসেম্বর-জানুয়ারি) পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে, এতে শীতের অনুভূতি বাড়তে পারে।
এবারের শীত মৌসুমে দেশে ৮ থেকে ১০টি মৃদু (তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ (৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, গায়ে লাগার মতো শীত আসবে ডিসেম্বরের শুরু থেকে। উত্তরাঞ্চলে এ সময় থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীত অনুভূত হতে পারে। যদিও এরই মধ্যে গ্রামাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। তবে রাজধানীতে ভারী শীত আসতে পারে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে।
তিনি আরও বলেন, শীতের মধ্যে বৈচিত্র্য অনেক। শীতের স্থায়িত্ব অনেকটা কমেছে। তবে হঠাৎ করেই ভারী শীতের সময়ে টানা ৩ থেকে ৪ দিন শীত পড়ে, আবার তাপমাত্রা বেড়ে যায়। পৌষ ও মাঘ এই দুই মাসে এরকম দেখা যায়। গত মৌসুমে খুব বেশি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ছিল না, কিন্ত কুয়াশার কারণে পরিবেশ অস্বাভাবিক ছিল।
ভারী শীতের আগে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসময় বঙ্গোপসাগরে ২ থেকে ৫টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে ১-২টি নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এসময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে। তবে দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি থাকতে পারে।