নিউজ ডেস্ক:
আজকাল বাজারে জ্যান্ত মাছ তেমন দেখা পাওয়া যায় না। তবে এবার রুই, কাতলা, ট্যাংরা, পাবদা, কই চিংড়ি মাছ জ্যন্ত অবস্থায় রান্নাঘরে ঢুকবে! যদিও মরা মাছের তুলনায় জ্যান্ত মাছের দাম অনেকটাই বেশি। জানা যায়, ভারতের স্টেট ফিশারিজ ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। বদলাচ্ছে সাবেকি মাছ পরিবহণের পদ্ধতি। দেশটির ওই রাজ্যের পাশাপাশি অন্যত্রও দেখা যায় সেকেলে পদ্ধতিতে মাছের পরিবহণ চলে – হাত দিয়ে হাঁড়িতে জল নাড়িয়ে অক্সিজেনের জোগান বজায় রেখে মাছ চালান হয়। ফলে সব সময় মাছ জ্যান্ত রাখা সম্ভব হয় না। জ্যান্ত মাছ পরিবহণে নতুন যান আনছে ভারতের রাজ্য মৎস উন্নয়ন নিগম (এসএফডিসি )। জাপান, থাইল্যান্ডের মতো দেশেও এক ধরনের ফিশ কন্টেনারে করে মাছ পরিবহণ করা হয়। এমন কী সেখানে প্রতিটি কন্টেনারে প্রায় ৪০ টন মাছ ধরে।
দেখা যায় ভারতের ফ্রেজারগঞ্জ , হেনরিস আইল্যান্ড, দীঘির মতো প্রকল্পগুলিতে যে মাছ উৎপাদন করা হচ্ছে, তার পরিবহণ করা হচ্ছে রেফ্রিজেরেটেড ভ্যানে। সেখানে বরফচাপা অবস্থাতেই মাছ আসছে এবং বিক্রি করা হচ্ছে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায়। আধুনিক ব্যস্ত জীবনে গতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই ফ্রোজেন ফিশে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে ঠিকই, তবে নিগমও লক্ষ্য করেছে এখনো অনেকের প্রথম পছন্দ জ্যান্ত মাছ। আর সেটাই প্রতিফলিত হয় জ্যান্ত মাছ আর মরা মাছের দামের পার্থক্যে। এই পরিস্থিতিতেই জ্যান্ত মাছ পরিবহণে নিগমের এই উদ্যোগ।
নতুন ব্যবস্থায় ওই কন্টেনারগুলি দেখতে হবে অনেকটা তেলের ট্যাঙ্কারের মতো। উপর দিকে ঢাকনা থাকবে। এটা অনেকটা চলন্ত অ্যাকোয়ারিয়ামের মতো। অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে যেমন এয়ারেটর ব্যবহার করে অক্সিজেনের জোগান দেওয়া হয় ,এক্ষেত্রেও তেমন ব্যবস্থাই থাকবে। অক্সিজেন সিলিন্ডারও থাকবে, এক একটি মাছের অক্সিজেন প্রয়োজন হয় একেক রকম। কোন মাছ পরিবহণ করা হচ্ছে , তা খেয়াল রেখেই সিলিন্ডারের রেগুলেটর বাড়িয়ে কমিয়ে প্রয়োজন মতো অক্সিজেনের দেওয়া হবে। তাছাড়া জলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেও থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা৷ এরফলে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা যাবে মাছগুলিকে৷ তবে একেবারে জাপানের মতো অত বড় কন্টেনার এখনই তৈরি করাচ্ছে না মৎস্য উন্নয়ন নিগম। আপাতত গাড়িগুলির বহনক্ষমতা হবে ১ টন। পানি-সহ তার প্রতিটিতে অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি ধরবে। জানা গেছে, প্রতিটি গাড়ির জন্য খরচ হবে আনুমানিক ১১ লাখ টাকা। প্রথম পর্যায়ে প্রস্তাব পাঠানোয় ১০টি গাড়ি নামাতে ভারতের রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় অনুমতি মিলেছে। সূত্র: কলকাতা টুয়েন্টিফোর সেভেন।