নিউজ ডেস্ক:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পরেই জনপ্রিয়তা খোয়ান এডলফ হিটলার। আত্মহত্যা করে মান বাঁচান প্রবল পরাক্রমশালী এই নায়ক।
তার জন্যই যুদ্ধের যাবতীয় দায়ভার বহন করতে হয়েছে জার্মানিকে। তাই হিটলারের স্মৃতিকে অপ্রাসঙ্গিক করতে উদ্যত জার্মানি।
তবু জার্মান আর্য রক্তের শ্রেষ্ঠত্বে মশগুল কিছু মানুষ। ফিরে আসছে নতুন নাৎসিবাদ। যা নিয়ে সতর্ক জার্মান প্রশাসন। এই যখন অবস্থা তখন এক প্রত্যন্ত গ্রামে দেখা মিলল একটি গির্জার, যেখানে হিটলারের শুভকামনায় এখনও বাজানো হয় ঘণ্টা। আর সে ঘণ্টায় খোদাই করা, ‘পিতৃভূমির জন্য সমর্পিত, অ্যাডলফ হিটলার। ’
বড় বড় করে তাতে আঁকা আর্যরক্তের আভিজাত্যের প্রতীক স্বস্তিক চিহ্ন। এই ঘণ্টা আবিষ্কারের পর থেকেই তা সরানোর দাবি উঠেছে। অনেকে আবার বলছেন, জাতীয় লজ্জার একটা পর্বকে তুলে ধরতে এই ঘণ্টা সংরক্ষণ করা হোক । তবে ঘণ্টার ভবিষ্যৎ নিয়ে গ্রামের মানুষ এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি বলে জানা গেছে।
আমেরিকার মধ্যে কনফেডারেট দেশ গঠনের দাবি উঠেছিল ১৮৬১ থেকে ৬৫ সাল নাগাদ। দাসপ্রথার সমর্থকরা লড়াই করেছিল সেনার সঙ্গে। এই কনফেডারেট যোদ্ধাদের মূর্তিভাঙ্গা নিয়ে এখন জোর বিতর্ক চলছে ওয়াশিংটনে। সেই শ্বেতাঙ্গদের সমর্থন করেছে নব্য নাৎসিরা। জার্মানিতেও হিটলারের আমলে তার সমর্থনে গির্জা থেকে স্তোকবাক্য পাঠ করানো হত। পরে সেই রীতি বিলুপ্ত হয়। তবে বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে কিছু ঘণ্টা।