নিউজ ডেস্ক:
আন্তর্জাতিক মহলকে উত্তপ্ত করে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া। দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে।
এক্ষত্রে উত্তর কোরিয়া সামরিক শক্তিমত্তায় কতক্ষণ টিকে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সংখ্যার দিক থেকে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী অনেক বড় এবং খুবই কার্যক্ষম। কর্মক্ষমতার দিক থেকে এ সেনাবাহিনীর অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। অন্যদিকে, দেশটির প্রধান নেতা কিম জং উনের মধ্যে অস্থির ও আক্রমণাত্মক স্বভাবও দেশটির অন্যতম হাতিয়ার।
তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই উত্তর কোরিয়ার সমরাস্ত্র পরিসংখ্যান সম্পর্কে।
উত্তর কোরিয়ার হাতে হাইড্রোজেন বোমা
পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন ও সমৃদ্ধকরণে উত্তর কোরিয়া এখন ছাড়িয়ে গেছে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশকেও। গোটা বিশ্বই তাদের পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আতঙ্কিত। পরমাণু অস্ত্র ছাড়াও বিশেষজ্ঞদের ধারণা উত্তর কোরিয়ার ১২ লাখ সেনা আছে। আর্মির সংখ্যা প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন।
পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে ক্রমাগত উন্নয়ন চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ৯ হাজার কিলোমিটার। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অংশে হানা দিতে সমর্থ উত্তর কোরিয়া। সম্প্রতি হাউড্রোজেন বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফের ক্ষমতার প্রদর্শন দেখায় উত্তর কোরিয়া। এই বিস্ফোরণে ভূগর্ভ কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পেও।
কোরিয়ান পিপলস আর্মি
উত্তর কোরিয়া মিলিটারির অফিসিয়াল নাম। মোট পাঁচটি শাখার সমন্বয়ে গঠিত এই সামরিক সংস্থা। দেশটির ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিশনের হাতে রয়েছে এর নিয়ন্ত্রণ। এই সংস্থার পাঁচটি শাখা হচ্ছে আর্মি গ্রাউন্ড ফোর্স, নেভি, এয়ারফোর্স, আর্টিলারি গাইডেন্স ব্যুরো ও স্পেশাল অপারেশন ফোর্স। বার্ষিক বাজেট প্রায় ছয় বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশ্বে বর্তমান সময়ে উত্তর কোরিয়া বৃহৎ সামরিক শক্তির দেশ। দেশটিতে বর্তমান আর্মির সংখ্যা প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন। এই সংখ্যা বিশ্বে চতুর্থ।
ব্যালাস্টিক মিসাইল
উত্তর কোরিয়ার আট শতাধিক ব্যালাস্টিক মিসাইল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে লং রেঞ্জের মিসাইল যেমন রয়েছে আবার শর্ট রেঞ্জের মিসাইলও রয়েছে। এই লং রেঞ্জের মিসাইলকে স্কাড মিসাইলে উন্নীত করা হচ্ছে। স্কাড মিসাইল অনায়াসে যেকোনো দিকে ছুটতে পারে। ১৯৮৪ সালে উত্তর কোরিয়া তার নিজস্ব প্রযুক্তির মাধ্যমে স্কাড-বি মিসাইলের উন্নয়ন করে। নুডং নামে মধ্যম রেঞ্জের মিসাইলও অনেক আছে উত্তর কোরিয়ার। এসব মিসাইল আঘাত হানতে পারে দুই হাজার ৯০০ কিলোমিটার থেকে ১০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে। নতুন মডেলের একটি মিসাইল দিয়ে ১৫ হাজার দূরত্বের আঘাত হানতে সক্ষম উত্তর কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়া
ডুবোজাহাজ: ৭০টি,
ট্যাংক: ৪,২০০,
জঙ্গিজেট: ৪৫৮টি
ফিক্সড উইং অ্যাটাক এয়ারক্রাফট: ৫৭২টি
সৈন্য সংখ্যা প্রায় ১.২ মিলিয়ন
নেভি শিপ: ৭০৮টি
মার্চেন্ট মেরিন স্ট্রেন্থ: ১৬৭টি
প্রধান বন্দর: ১২টি
সাবমেরিন: ৯৭টি
পেট্রল ও কোস্টাল ক্রাফট: ৪৯২টি
মাইন ওয়ারফেয়ার ক্রাফট: ২৩টি
উভচর ক্রাফট: ১৪০টি
ল্যান্ড-বেইজড অস্ত্র: ১৬,৪০০টি
সাঁজোয়া যান: ২,৫০০টি
সেলফ-প্রোপেলড গান: ৪,৪০০টি
মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার সিস্টেম: ২,৫০০টি
মর্টার্স: ৭,৫০০টি
এন্টি-এয়ারক্রাফট অস্ত্র: ১১,০০০টি
মোট এয়ারক্রাফট: ১,৭৭৮
হেলিকপ্টার: ৬২১টি
এয়ারপোর্ট: ৭৭টি