চলমান এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী। আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে জড়ো হন তারা। দাবি আদায়ে দুপুরের দিকে তারা সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে এসব শিক্ষার্থীরা।
পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান এবং আলোচনার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, দেড় মাসের পরীক্ষা আমরা কয়েক মাস ধরে ঝুলে আছি। কয়েকদিন আগেও জানিয়েছিল সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখে পরীক্ষা হবে। এখন আবার দুই সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। এত সময় নিলে ফলাফল প্রকাশ করবে কখন? আর আমরা ভর্তি হবো কবে?
তারা বলেন, একটা বোর্ড পরীক্ষা কীভাবে ৬-৭ মাস পর্যন্ত ঝুলে থাকে? সে জন্য আমরা এটা মানি না। আমরা চাই যেসব পরীক্ষা হয়েছে সে অনুযায়ী পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হোক। বাকি যে ছয়টি পরীক্ষা বাকি আছে সেগুলো এসএসসির নাম্বারের সঙ্গে মিলিয়ে নাম্বার দেয়ার দাবি তাদের।
দাবি না মানলে সচিবালয়ের মধ্যে থেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সচিবালয়ে শিক্ষার্থীরা ঢুকে পড়ার আগে নতুন করে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা আসে। ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ফের পরীক্ষা শুরু কথা থাকলেও তা আরও দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে বলে জানানো হয়। তবে পূর্ণ নম্বরে নয়, বাকি থাকা পরীক্ষাগুলো হবে অর্ধেক প্রশ্নত্তোরে।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপাতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আগের যদি একটি বিষয়ে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো সেখানে এখানে চারটি প্রশ্নের উত্তর দিলেই হবে। তবে পরীক্ষার সময় পূর্ন সময়েই থাকছে। আগামীকাল বুধবার (২১ আগস্ট) এ বিষয়ে প্রেস কনফারেন্স করবেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।