প্রতিবাদ করায় মহিলা আওয়ামীগ নেত্রী বিলকিছসহ আহত ৪
নিউজ ডেস্ক:অবৈধভাবে ঋন সুবিধা আদায় করতে না পেরে সোনালী ব্যাংক ভবন মালিক কর্তৃক ম্যানেজার ও সিনিয়র অফিসার ফারুক লাঞ্চিত।এসময় উপস্থিত মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বিলকিস ও তার স্বামী আশরাফুল ইসলাম তিতাস ব্যাংকের পক্ষে প্রতিবাদ করায় ভবন মালিক বাদশা গংদের হামলায় কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটিঘটেছে ২৪ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড পলাশবাড়ী শাখায়। এসময় ব্যাংক ভবনে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম রতন ও আশরাফুল ইসলাম জানান,প্রতি দিনের ন্যায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড পলাশবাড়ী শাখায় যথারীতি ব্যাংক লেনদেন চলছিল। বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও ব্যাংক ভবনের মালিক শহিদুল ইসলাম বাদশা ম্যানেজারের রুমে প্রবেশ করে জনৈক্য ব্যাক্তির ঋন খেলাপি তালিকা থেকে নাম কর্তন করে পুনঃঋন প্রদান ছারাও তার ছেলে ও ভাতিজার নামে ২ টি ঋনের দাবি করেন। এসময় ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ঋন খেলাপির ঋন নবায়ন করা ও পুনঃ ঋন প্রদান সময় সাপেক্ষ ব্যাপার বলে জানান।
এসময় আকর্ষিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাদশা উত্তেজিত হয়ে ব্যাংকে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে ম্যানেজার নাজমুল ইসলামকে অশ্লীল গালমন্দসহ উচ্চ স্বরে হুমকি ধামকি প্রদান করে মারমুখী ভুমিকায় অবতীর্ণ হলে সকল ব্যালকের কর্মকর্তার ও আনসার সদস্যরা ম্যানেজারের রুমে এগিয়ে আসে। ঘটনার আকর্ষিকতায় ব্যাংকে প্রবেশ করে আওয়ামীলীগ নেতা বাদশার ছোট ভাই সদ্য বহিস্কৃত যুবলীগ সভাপতি আজাদুল ইসলাম,সাজাদুল ইসলাম ও তার একমাত্র ছেলে শিউল, তারা ব্যাংক ভবনে ঢুকে সিনিয়র অফিসার ফারুকের শার্টের কলার ধরে টানাটানি করে। ব্যাংকে আগে থেকেই অবস্থান করা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও মোটর মালিক সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট সমাজ সেবক এনামুল হক মকবুল, সাংবাদিক সিরাজুল ইসলাম রতন, আশরাফুল ইসলাম, ও যুবলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম তিতাস বিষয়টি শান্ত করার চেষ্টা করলে বাদশাগংরা এনামুল হক মকবুল কে গালিগালাজ করলে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যাংক ভবন ত্যাগ করে চলে যায়। পরে আশরাফুল ইসলাম তিতাস অন্যায় ভাবে ব্যাংক কর্মকর্তাদের অপমানের প্রতিবাদ জানানে তারা ব্যাংক ভবনের মধ্যেই তিতাসকে বেদম মারপিট করেন।ব্যাংকে পুরো ঘটনার ভিডিও চিত্র সাংবাদিকরা ধারন করলে তারা সাংবাদিকদের ও হুমকি ধামকি প্রদান। পরে বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকে সমঝোতা বৈঠকে বসেন ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম যা অসমাপ্তই থেকে যায়। এরইধারাবাহিকতায় ২৫ নভেম্বর বুধবার দুপুরে তিতাস ও শহিদুল ইসলাম বাদশার মধ্যে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির সুত্রপাত হয়। এসময় বাদশা ও তার ভাই আজাদুল, সাজাদুল ছেলে শিউলসহ বেশ কয়েকজন ব্যাক্তি তিতাস ও তার স্ত্রী বিলকিস,ভাগিনা সাংবাদিক নুর মহব্বত, ছোট ভাই রিংকুকে বেদম মারপিট করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিলকিস ও রিখুর অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় শিউল ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানাযায়। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাযায়।