নিউজ ডেস্ক:
নারী ও গ্রামের উদ্যোক্তাদের জন্য উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প পরিচালনায় মোট ব্যয়ের প্রায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ইউকেএইড। সংস্থাটি ‘বিজনেস ফাইন্যান্স চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ নামে একটি তহবিলের আওতায় এই আর্থিক সহায়তা দেবে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে ‘বাংলাদেশে এসএমই খাতের অর্থায়নে উদ্ভাবনী ফান্ড’ বিষয়ক কর্মশালায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং ইউকে এইড-এর বিজনেস ফাইন্যান্স ফর দি পুওর ইন বাংলাদেশ (বিএফপি-বি) যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে।
ওয়ার্কশপে বিজনেস ফাইন্যান্স ফর দি পুওর ইন বাংলাদেশ (বিএফপি-বি)-এর চ্যালেঞ্জ ফান্ড ম্যানেজার মোঃ আরাফাত হোসেন এ ফান্ড বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, ‘ইউকে এইড পরিচালিত একটি প্রকল্প হলো বিএফপি-বি, যেটি বাংলাদেশের উদ্ভাবনী, টেকসই ও সফল এসএমই উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। এ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে এবং চলতি বছরের ৩০ জুন তা শেষ হবে।
আরাফাত হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ‘বিজনেস ফাইন্যান্স চ্যালেঞ্জ ফান্ড’ নামে একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে, যেখানে এ খাতের উদ্যোক্তাগণ তাদের উদ্ভাবনী প্রকল্প পরিচালনায় মোট ব্যয়ের প্রায় ৫০% পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেতে পারবেন। এ প্রকল্পের আওতায় নারী ও গ্রামের উদ্যোক্তাবৃন্দ বিশেষ অগ্রাধিকার পাবেন।
কর্মশালায় বিজনেস ফাইন্যান্স ফর দি পুওর ইন বাংলাদেশ (বিএফপি-বি)-এর টিম লিডার ক্রিস্টফার অগাস্ট বলেন, বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে এ ফান্ড গঠন করা হয়েছে। কারণ, এসএমই খাত এ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম, এফসিএ বলেন, সারা পৃথিবীতে শিল্পায়ন এবং অর্থনীতির চাকাকে চলমান রাখার ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে এবং বাংলাদেশে মোট উদ্যোক্তার প্রায় ৭০ ভাগই হলো এসএমই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাগণ প্রায়ই আর্থিক সহায়তা, মূলধন স্বল্পতা ও অন্যান্য সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং আমাদের বিদ্যমান আর্থিক ব্যবস্থাপনা এসএমই বিকাশে সহায়ক নয়। তিনি বাংলাদেশের এসএমই খাতের বিকাশে আর্থিক নীতিমালার আমূল সংষ্কারের পাশাপাশি উক্ত খাতের নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ সহতায়তা দেয়ার উপর জোর দেন।
কর্মশালায় ঢাকা চেম্বারের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এ খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং প্রাইভেট ইক্যুইটি বিশেষ অবদান রাখতে পারে বলেমত প্রকাশ করেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তাদের বিকাশে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান, উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধি ও পণ্যের বহুমুখীকরন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য সেবা প্রদান এবং বিশেষ শিল্প এলাকা স্থাপনের প্রস্তাব করেন।
কর্মশালায় ডিসিসিআই-এর ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। ডিসিসিআই পরিচালক ইমরান আহমেদ, প্রাক্তন সহসভাপতি অবসার করিম চৌধুরী, এম আবু হোরায়রাহ, প্রাক্তন পরিচালক ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান ও রফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।