বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

উচ্চ রক্তচাপ কমাতে কী খাবেন ?

নিউজ ডেস্ক:

ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। উচ্চ রক্তচাপ প্রায় একটি স্থায়ী রোগ হিসেবে বিবেচিত।
এর জন্য চিকিৎসা ও প্রতিরোধ দুটোই জরুরি। এতে নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার বাধ্যবাধকতা তো আছেই, পছন্দের অনেক খাবারে জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। তা না হলে বিভিন্ন জটিলতা, এমনকি হঠাৎ করে মৃত্যুরও ঝুঁকি থাকে। তবে বেশ কিছু ফল আছে, যা খেলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এসব ফলের কিছু মৌসুমে আবার কিছু বছরব্যাপী পাওয়া যায়। কিছু ফল দামি আবার কিছু কম মূল্যের ফলও আছে। সেসব নিয়েই আজকের আলোচনা।

কলা
রক্তচাপ কমাতে চাইলে কলা দারুণ এক উপায়। কলা এমন একটি ফল যা সারা বছর পাওয়া যায় এবং দামেও সস্তা অথচ এ ফলটি পটাসিয়ামে ভরপুর।
আর পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। নিয়মিত কলা খেলে রক্তচাপ অন্তত ২ থেকে ৩ পয়েন্ট কম থাকে।

তরমুজ
গ্রীষ্মকালে সহজে পাওয়া এ ফলটি হৃপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি আঁশযুক্ত ফল। তা ছাড়া এ ফলটিতে আছে ভিটামিন ‘এ’ এবং পটাসিয়ামসহ অন্যান্য উপাদান। আর প্রায় সব উপাদানই রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

কমলালেবু
চমৎকার সব ভিটামিন সমৃদ্ধ ফল এটি। এই ফলটি একদিকে যেমন রসনা মেটায় তেমনি রক্তচাপের ঝুঁকি কমায়। প্রতিদিন এক গ্লাস কমলার রস বা কয়েকটা কমলা খেলে শরীরের ভিটামিন ‘সি’র চাহিদা মেটানো যায়।

মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলু পটাসিয়ামে সমৃদ্ধ। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাসিয়াম থাকলে একদিকে যেমন সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে তেমনি রক্তচাপও কম থাকে।

আঙ্গুর ও শিম
সারা দিনের কাজ শেষে এক গ্লাস আঙ্গুরের রস রক্তচাপ কমাতে দারুণ কার্যকরী। কেননা আঙ্গুরে আছে পোলিফেনলস, যা রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। শরীরের পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং আঁশের অভাব মেটানোর দারুণ এক উপায় শীতকালীন সবজি শিম। শিমে থাকা এসব উপাদান রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। মৃদু উচ্চরক্তচাপ সাধারণত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ব্যায়াম এবং শারিরীক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। ফল, শাক সব্জি, স্নেহবিহীন দুগ্ধজাত খাদ্য এবং নিম্নমাত্রার লবণ ও তেলের খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ বিশিষ্ট রোগীর রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular