নিউজ ডেস্ক:
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিসেল ব্লেকেন বলেছেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের বিষয় অত্যন্ত সময়োপযোগী। পেপার উপস্থাপন এবং ‘এ ডলস হাউজের’ বাংলা নাট্যরূপ ‘নিনাদ’ নাটক মঞ্চস্থ করা ও তা নিয়ে আলোচনায় ইবসেনকে নিয়ে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আগ্রহ বাড়ছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিন আয়োজিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের গত শনিবার দ্বিতীয় দিনের বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইবসেন স্ট্যাডি যে কতো গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে এবং এখানকার স্কলার শিক্ষকরা গভীরভাবে চর্চা করছেন তা না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। নিবন্ধ উপস্থাপন কৌশল ও ইবসেন সম্পর্কে চমৎকার ধারণা দেখে আমি অভিভূত।
তিনি বলেন, নরওয়েতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধিতে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রচেষ্টা চালাবেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে প্রফেসর ড. আহমেদ আহসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে ‘আর্টিস্টস পার্সেপশন অব ইবসেনিয়ন ফ্রিডম পার্টিসিপেটিং আর্টিস্ট’ শীর্ষক বিষয়ের ওপর গোলটেবিল আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের তিনটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা অংশ নেন।
পরে ‘ইবসেন আন্ডার দ্য রাডার-ফ্রি স্পিচ অ্যান্ড সেন্সরশিপ ইন দ্য থিয়েটার’ শীর্ষক বিষয়ে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব ওসলোর সেন্টার ফর ইবসেন স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ফ্রুদা হেলেন্ড।
হংকং ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর কোক-ক্যান ট্যামের সভাপতিত্বে এ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কাজল বন্দোপাধ্যায়, ওসলো ইউনিভার্সিটির ড. রুথ স্কর এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক এ বি এম মনিরুল হক তাদের পেপার উপস্থাপন করেন।
দুপুরে ‘ফ্রিডম ইন আর্টিক্যুলেশন অব দ্য সেলফ : এ ডলস হাউস অ্যান্ড মডার্ন চাইনিজ ড্রামা’ শীর্ষক মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন হংকং ওপেন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর কোক-ক্যান ট্যাম।
এ সেশনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ফখরুল আলম।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশি-বিদেশি শিক্ষক, গবেষক, ইংরেজি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সাবিহা হক, শিক্ষক ও সিনিয়র শিক্ষার্থীরা এবং চারুকলা ইনস্টিটিউটের অধীনের তিনটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল রোববার এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষ হয়েছে।