বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশি স্বাস্থ্যসেবার ভূয়সী প্রশংসা

কোটা সংষ্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের একদফা ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তখন সারাদেশে তৈরি হয় এক অস্থির পরিস্থিতি। তখন সংঘর্ষে প্রচুর মানুষ হতাহত হয়। অফিস, আদালতসহ সব ধরণের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ওই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছিল দেশের সরকারী বেসরকারী হাসপাতালগুলো।

চিকিৎসক, নার্সগণ জীবন বাজী রেখে তাদের স্বাস্থ্যসেবা অব্যহত রেখেছিল। এই বিষয়টির প্রশংসা করে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা ‌’ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’। সেখানে বাংলাদেশী স্বাস্থ্যসেবা পেশাদারদের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, ওই সময় স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা সর্বশ্রেষ্ঠ পরিষেবা প্রদান করেছিল। স্বাস্থ্যসেবা পেশাদাররা শপথ মেনে সব ধরণের প্রশ্ন এবং উদ্বেগের ঊর্ধ্বে উঠে তাদের চিকিৎসাসেবা বহাল রেখেছিলেন। সরকারি হাসপাতালের বেশির ভাগ কর্মীরা স্বাভাবিক কর্মঘণ্টার পরও আহতদের যত্নসেবা দিতে হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই থেকে গিয়েছিলেন। বেশিরভাগ প্রাইভেট হাসপাতাল টাকা না নিয়ে রোগীদের সেবার দিকে বেশি মনোযোগ দেয়।

বাংলাদেশী তরুণ চিকিৎসক, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. মারুফ হাসানের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস তাদের প্রতিবেদন তৈরি করে। সেখানে মারুফ হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার ইতিহাসে আমরা এত বেশি সংখ্যক হতাহত রোগীর সম্মুখীন হইনি। জটিলভাবে আহত হওয়া এসব রোগীদের চিকিৎসা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোর জন্যও উদ্বেগের বিষয় ছিল। ‘

অবরোধ ও কারফিউ চলাকালীন রোগীদের সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর পরিশ্রমের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সব স্তরের চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেলের শিক্ষার্থী এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীগণ অন্তর্ভুক্ত ছিলেন সংকটকালীন এই মহান সেবায়। ‘

প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশিরভাগ মারাত্বক আঘাত বা ক্ষতের প্রধান কারণ ছিল গুলি। যদিও শুরুর দিকে আন্দোলন দমাতে পুলিশ রাবার বুলেট ব্যবহার করেছিল। পরবর্তীতে বুলেট ব্যবহার করা হয়। আনুমানিক ৪ থেকে ৫শ মানুষ মারা গেলেও আহতের সংখ্যা অগুণতি।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular