নিউজ ডেস্ক:
মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিন সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফেরার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য তারা বাংলাদেশেও এসেছে। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করতে পারব।
রোহিঙ্গাদের মানবিক সাহায্য ও আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বোন শেখ রেহানার অনুরোধ ছিলো জানিয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা আরও বলেন, শুরুর দিকে যখন রোহিঙ্গাদের স্রোত বাংলাদেশের দিকে আসতে থাকলো তখন রেহেনা আমাকে বলেছিল, ১৬ কোটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতে পারলে ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষকে কেন খাওয়াতে পারবি না।
শেখ হাসিনা বলেন, শুরুর দিকে রোঙ্গিাদের সবকিছুর ব্যবস্থা করেছি। আমি দেশের বাইরে যাওয়ার আগে সবাইকে সেই নির্দেশনা দিয়ে গেছি। কারও কাছে সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করেনি। তবে পরে অনেকে এগিয়ে আসে। এসময় তাদের ধন্যবাদ জানাতেও ভুলেননি প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অতীত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাত্তরেও আমাদের ওপর নির্যাতন, গণহত্যা ও ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল, সে সময় প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতায় এবার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এক বেলা খাব, আরেক বেলা খাবার রোহিঙ্গাদের ভাগ করে দেব।
প্রসঙ্গত, তিন সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে শনিবার পৌনে ১০টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিভিন্ন মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা। পরে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি। এসময় বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দু’পাশের হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ মানুষ তাকে অভিনন্দন জানান।