নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র আল-তায়েবা মোড়ে দিনদুপুরে চায়ের দোকানি নাজিরকে (৪৫) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দুই যুবক। গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আঘাতে চা দোকানি নাজিরের পেটের ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাজির পৌর শহরের কোর্টপাড়ার মৃত ভিখু মণ্ডলের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আল-তায়েবা মোড়ের চা দোকানটি পরিচালনা করে আসছিলেন।আলমডাঙ্গা পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র আল-তায়েবা মোড়ে দিনদুপুরে চায়ের দোকানি নাজিরকে (৪৫) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে দুই যুবক। গত মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আঘাতে চা দোকানি নাজিরের পেটের ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নাজির পৌর শহরের কোর্টপাড়ার মৃত ভিখু মণ্ডলের ছেলে। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আল-তায়েবা মোড়ের চা দোকানটি পরিচালনা করে আসছিলেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোবিন্দপুর গ্রামের মাসুদ আলীর ছেলে ইমরান চা খেতে নাজিরের দোকানে ঢোকেন। এ সময় নাজিরের সঙ্গে ইমরানের পানি খাওয়া নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে ইমরান নাজিরকে কিল-ঘুষি মারেন, নাজিরও তাঁকে প্রতিহত করেন। এরপর ইমরান দোকান থেকে বের হয়ে যান। এর প্রায় আধা ঘণ্টা পর ইমরান তাঁর গ্রামের ওহিদুল ইসলামের ছেলে শাহীনকে সঙ্গে নিয়ে ওই দোকানে আবার যান। এরপর ইমরান চায়ের দোকানি নাজিরের পেটে রামদা দিয়ে কোপ দিলে নাজিরের পেটের ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। এ সময় ইমরান দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে পারলেও স্থানীয় জনতা তাঁর সহযোগী শাহীনকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সময় স্থানীয়রা নাজিরকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে প্রথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে পৌর কাউন্সিলর জাহিদুল ইসলাম ও ইমরান পৌরসভার একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ওই চা দোকানের সামনে সোনালী ব্যাংকে যান। কাউন্সিলরকে ব্যাংকে রেখে ইমরান চা খেতে নান নাজিরের দোকানে এবং কাউন্সিলরের মোটরসাইকেল নিয়েই ইমরান বাড়ি থেকে রামদা এনে নাজিরকে কোপায়। এতে কাউন্সিলর জাহিদুলের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা জানতে পুলিশ মোটরসাইকেলসহ জাহিদুলকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় চায়ের দোকানি নাজিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইমরানকে আটক করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। ইমরানের সহযোগী শাহীনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কাউন্সিলর জাহিদুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্তা পাওয়া না গেলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে।