নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ দুই ডাকাতকে আটক করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের শহিদুল ওরফে জদু ড্রাইভার ও জেহালা গ্রামের ইমন নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে আলমডাঙ্গা নওদা বন্ডবিল গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে তিনটি তাজা বোমা ও তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ দুই ডাকাতকে আটক করেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের শহিদুল ওরফে জদু ড্রাইভার ও জেহালা গ্রামের ইমন নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ। পরে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে আলমডাঙ্গা নওদা বন্ডবিল গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে তিনটি তাজা বোমা ও তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার জেহালা পান হাট বাজারের সুইপার মাধব দাসের স্ত্রী পূর্ণী রাণী গত মঙ্গলবার রাতে জেহালা পান হাটে চত্বরে নিজ ঘরে মেয়ে-জামাই ও ছেলে-বউ নিয়ে নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। রাত একটার দিকে এক দল মুখোশধারী ডাকাত তাঁর বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় অস্ত্র ও বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বাড়িতে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ এক লিটার বাংলা মদ ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন রাতেই মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ডাকাত দলের সদস্যদের আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে রোয়াকুলি কলেজ পাড়ার জলিল ম-লের ছেলে শহিদুল ওরফে জদু ড্রাইভার (৩৫) ও জেহালা গ্রামের খলিল উদ্দিনের ছেলে ইমনকে (১৮) আটক করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ডাকাতির কথা অকপটে স্বীকার করেন ও তাঁদের সঙ্গীদের নাম বলেন। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আটক দুই ডাকাতের স্বীকারোক্তিতে বন্ডবিল নওদাপাড়া গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে তিনটি তাজা বোমা ও তিনটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার শহিদুল ওরফে জদু ড্রাইভার ও ইমন নামের দুজনকে আটক করা হয়। তাঁদের স্বীকারোক্তিতে বন্ডবির নওদাপাড়া গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে তিনটি তাজা বোমা ও তিনটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া শহিদুল ওরফে জদু ড্রাইভারের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বিভিন্ন থানায় চারটি মামলা রয়েছে। আরও অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।