আবদার-সলক-ইউনুচসহ পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড !
নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার কায়েতপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়ার হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ মোহা. রবিউল ইসলাম গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্তরা হলেন, কায়েতপাড়া গ্রামের মৃত দুখী পরামানিকের ছেলে আব্দার হোসেন (৪২), মৃত আনসার আলী ম-লের ছেলে ইউনুচ আলী (৫২) ও মৃত তাহাজ আলী ম-লের ছেলে মুনিয়ার ম-ল (৪৭) এবং পাশের রামদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মো. সলক (৪০) ও আমজেদ আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে কবির আলী জোয়ার্দ্দার (৩২)।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১৯ এপ্রিল ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বাওড় পাহারা দিয়ে ফেরার পথে জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়ার মাথায় ও বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিনই জিয়ারের ভাই আসাদুল ম-ল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এ এইচ এম লুৎফুল কবীর ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীকে পরীক্ষা করেন। মামলা পর্যালোচনা শেষে দ-প্রাপ্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার তদন্তকালে পুলিশ জিয়াউর রহমান হত্যার মোটিভ উম্মোচন করতে সক্ষম হন। একই সঙ্গে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কায়েতপাড়া গ্রামের আব্দার হোসেন, ইউনুচ আলী, মনিয়ার ম-ল, কবির হোসেন ও সলককে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে আসামি সলক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার তৎকালীন পরিদর্শক এএইচ এম লুৎফুল কবীর তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চাজশির্ট দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত এ মামলায় মোট ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৯ জনের সাক্ষ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করেন। রায়ে আদালত অভিযুক্ত ৫ জনকে দ-বিধি ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত করেন।
আলোচিত এ মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন ও আসামি পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উদ্দীন খাঁন ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন। এদিকে, রায় ঘোষণার পর আসামিদেরকে কঠোর নিরাপত্তায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।