অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের স্নিগ্ধা দাস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্নিগ্ধা দাস বলেন, ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান মানুষের খাদ্যের যোগান দেয় কৃষি। তাই মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটানোর লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সময় উপযোগী ফলদ বৃক্ষসহ অন্যান্য বৃক্ষ রোপণ অপরিহার্য।
তিনি ফলজ, বনজ ও ঔষুধী বৃক্ষের অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ফল একটি স্বাস্থ্য রক্ষাকারি খাদ্য, কাজেই মানুষের দেহে শক্তি ও দৈহিক গঠনে বলিষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন কিছু না কিছু যে কোন ধরনের ফল খেতে হবে আর এজন্য বাড়িতে যে কোন ফলের গাছ থাকা প্রয়োজন।
তিনি ফল উৎসবে উপস্থিত সকল স্তরের মানুষকে মেলা পরিদর্শণ ও মেলা থেকে কৃষি প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও নতুন নতুন ধ্যান ধারনা গ্রহনের পাশাপাশি ৩টি করে ফলজ, বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীন তার বক্তব্যে বলেন, বৃক্ষ জীবন রক্ষাকারি অক্সিজেন, জ্বালানী কাঠ, কাগজ তৈরীর কাঁচামাল, মাটি ক্ষয়রোধ, রাস্তার সৌন্দর্য বর্দ্ধনসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করে পরিবেশ রক্ষা করে। কাজেই সবাইকে ফলদ, বনজ ও ঔষুধি বৃক্ষ রোপনে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। তিনি উপস্থিত সকল স্তরের মানুষকে মেলা থেকে কৃষি প্রযুক্তিগত জ্ঞান গ্রহনের পাশাপাশি ২টি করে ফলদ বৃক্ষের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করার জন্য আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, উপজেলা প. প. কর্মকর্তা এ এম মাহমুদ শাহরিয়ার, উপজেলা প্রকৌশলী তাওহীদ আহমেদ, নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, ইন্সটেক্টর জামাল হোসেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, বিআরডিবি কর্মকর্তা শাইলা শারমিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম আউয়াল, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগা দাস। এ ছাড়াও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রফিকের পরিচালনায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া খাতুন, মোছাম্মদ তাবাসসুম, নাহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলামসহ পল্লী উন্নয়ন ব্যাংকের শেফালী বেগম উপস্থিত ছিলেন।