নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক শরণার্থী নিষিদ্ধ এবং সাত মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকদের ভিসা বন্ধের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন দেশটিতে বসবাসরত ইহুদিরা। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে আমেরিকার চেতনার পরিপন্থি হিসেবে অভিহিত করে তারা এ বিক্ষোভ করেন।
মুসলিম-আমেরিকানদের অধিকার ও মর্যাদার সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে রবিবার নিউইয়র্ক, ক্যালিফোর্নিয়া, ম্যাসাচুসেটস, ইলিনয়, কলরাডো, পেনসিলভেনিয়া, নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন ইহুদিরা। ‘ন্যাশনাল ডে অব জুইশ এ্যাকশন ফর রিফ্যুজি’ শিরোনামে এ কর্মসূচির উদ্যোক্তা ‘হিব্রু ইমিগ্র্যান্ট এইড সোসাইটি’ নামক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
নিউইয়র্কে দিনভর বৃষ্টির মধ্যেই শত শত জুইশ অংশ নেন ব্যাটারি পার্কের সমাবেশে। ট্রাম্প এ পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত না হলে আমেরিকার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য বিপন্ন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন বিক্ষোভে অংশ নেয়া নিউইয়র্ক সিটি মেয়র বিল ডি ব্লাসিয়ো।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র সকলকে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ অক্ষুন্ন রাখার পক্ষে সংগঠিত হবার আহবান জানিয়ে বলেন, সব ধরনের গণবিরোধী কর্মকাণ্ড রুখে দিতে ঐক্য জোরদার করতে হবে। ধর্মীয় সম্প্রীতির অনন্য নজির সৃষ্টিকারী আমেরিকায় মুসলিমদের অধিকার খাটো করে দেখার কোনই অবকাশ নেই। সহজ-সরল অভিবাসীদের গ্রেফতার অভিযানের যে তাণ্ডব শুরু হয়েছে, তা গোটা সমাজ ব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করেছে। এভাবে চলতে থাকলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অটুট রাখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে।
বিক্ষোভে অংশ নেন ম্যানহাটান বরো প্রেসিডেন্ট গ্যাল ব্রিওয়ার, পাবলিক এডভোকেট লেটিশা জেমস এবং সিটি কম্পট্রোলার স্কট স্ট্রিঙ্গারও। তারা ইহুদি-মুসলিম ঐক্য আরও জোরদার করার আহ্বান জানান। সানফ্রান্সিসকো-বে এলাকার সমাবেশে বক্তৃতাকালে রাব্বাই লেইডার বলেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড আমেরিকার সুমহান ঐতিহ্য বিপন্ন হয়ে পড়েছে। বিমানবন্দর থেকে বিশেষ জাতিগোষ্ঠি আর ধর্মের কারণে লোকজনকে ফিরিয়ে দেয়ার কোনো উদাহরণ যুক্তরাষ্ট্রে আগে ছিল না। এমন অমানবিক কাজকে সভ্য বিশ্বের কেউই মেনে নিতে পারেন না।
এদিকে, আপিল কোর্টে পরাজিত হবার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী এবং সন্ত্রাসী ঠেকানোর অভিপ্রায়ে আরও কঠোর পন্থা অবলম্বনের জন্যে নতুন একটি নির্বাহী আদেশ জারির সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। এ সিদ্ধান্ত আমেরিকানদের মধ্যে আরও বেশি ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।