নিউজ ডেস্ক:
পীত সাগরের একটি অংশ বন্ধ করে বিশাল আকারের নৌ মহড়া চালানো শুরু করল চীন। আপাতত এই এলাকায় সব ধরনের নৌযানের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানদং প্রদেশ থেকে জিয়াংশু প্রদেশের লিয়ানইয়ুনগাং পর্যন্ত ৫৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা মহড়ার আওতায় থাকবে। এলাকাটি কোরীয় উপকূলের কাছে অবস্থিত। গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই এলাকায় চীন দ্বিতীয়বারের মতো সামরিক মহড়া চালাল। আর এই মহড়া ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা বিতর্ক। চীনের এমন পদক্ষেপকে রীতিমত হুঁশিয়ারি হিসাবে দেখা হচ্ছে। সামরিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আমেরিকাকে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যেই চীন এই মহড়া শুরু করেছে।
নিয়ন্ত্রিত এই এলাকায় বিশাল সামরিক মহড়া সম্পর্কে বিস্তারিত আর কিছু বলেনি চীনের নৌবাহিনী। এর আগে, গত ২৭ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত চীনের সেখানে সর্বশেষ নৌ মহড়া চালিয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপ এবং দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে যখন চীন ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, তখন বেইজিং কোরীয় উপকূলের কাছে সাগরের অংশ বিশেষ বন্ধ করে দিয়ে নৌ মহড়া চালাচ্ছে। সম্পতি চীনকে দমাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-জাপান। দক্ষিণ চীন সাগরে দ্বীপ গড়ে তোলায় ও সেখানে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করার জন্য চীনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল একসঙ্গে এই তিন দেশ।
বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে কৃত্রিম দ্বীপ তৈরি করেছে চীন, যা সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হবে বলেই জানা গেছে। আর এতে জলপথে অধিকার ফলাতে চাইছে চীন। তাই চীনের বিরুদ্ধে একজোট হল তিন দেশ। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের অধিপত্য বিস্তারের অভিসন্ধি নস্যাৎ করতে এর আগে একজোট হয়েছিল ভারত-ভিয়েতনাম। কারণ অন্যান্য দেশের অধিকার থাকা সত্ত্বেও বেআইনি ভাবে দক্ষিণ চীন সাগরকে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করে যাচ্ছে চীন।