ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিহান এবং AIUB-এর সিমান্ত হত্যার বিচার এবং দেশব্যাপী অরাজকতা ও গুপ্তহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন বলেন, “গত পাঁচ আগস্ট ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা এসেছে, সেটি একটি কুচক্রী মহল নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। আন্দোলনকারীদের গুপ্ত হত্যা করা হচ্ছে এবং তাদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। ইস্ট ওয়েস্টের শিক্ষার্থী শিহান এবং AIUB এর শিক্ষার্থী সিমান্তকে গুপ্ত হত্যা করা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, ছাত্রজনতার রক্তের ওপর এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের রক্ষা করতে না পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থ হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছে, তার বিচারের আগে বাংলার মাটিতে তাদের রাজনীতি চলতে দেওয়া যায় না। যারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা উচিত। তেরো ৫মে তৌহিদী জনতার উপর যে গণহত্যা চালানো হয়েছে, তার বিচারও করতে হবে। ২০০৯ সালে দেশপ্রেমিক সৈনিকদের হত্যার বিচারও করতে হবে। আমরা স্বাধীনভাবে বসবাসের জন্য এই দেশকে স্বাধীন করেছি, কোনো সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে ব্যবহৃত হতে নয়।”
মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন বলেন, “একটি মহল ছাত্রজনতাকে বিভাজিত করার চেষ্টা করছে। যারা এখনো বিভাজনের রাজনীতি করতে চাচ্ছে, তাদের সাবধান থাকতে হবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই এক। এক হয়ে আমরা লড়াই করব, ইনশাআল্লাহ।”
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মুহাম্মাদ আব্দুল আজিজ, মাহদী হাসান শিকদার, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ দিদারুল ইসলাম, বায়তুল মাল সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুল হাই, প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এহসানে রাব্বি মুইন, মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক মুশতাক আহমাদ, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর রমনা থানার সভাপতি মুহাম্মাদ নাইম উদ্দিনসহ প্রমুখ।