বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

আন্দুলবাড়ীয়ায় সড়কে জলাবদ্ধতা : দূর্ভোগ চরমে!

নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলার ২নং আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাকের ডগায় প্রতিবেশীর বাড়ীর ব্যবহারিত নোংরা পানি প্রধান সড়কে এসে দীর্ঘদিন যাবত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। এতে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে। জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান-মেম্বাররা বিষয়টি থোড়ায় কেয়ার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের রাজধানীপাড়ার প্রয়াত নূর হক বিশ^াসের ছেলে নজির আহম্মেদ বিশ^াস ও প্রয়াত অগ্রণী ব্যাংকের আন্দুলবাড়ীয়া শাখার কর্মকর্তা আব্দুর খালেক বিশ^াসের পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করেন না। তাই আন্দুলবাড়ীয়া রাজধানীপড়াস্থ বাড়ীটি ভাড়াটিয়াদের নিকট ভাড়া দিয়ে রাখেন। দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করছেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউপি সাবেক মেম্বার ও সুপার ব্রিক্স এ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচার এর সত্বধিকারী আব্দুল ওয়াহেদ, আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের বাবু কসমেটিক্স এর সত্বাধিকারী সাইদুর রহমান বাবু ও শাহিন বেডিং হাউজের সত্বাধিকারী শাহিন, আলী কদর ও ইসমাইল হোসেন। এই বাড়ীর নোংরা পানি প্রতিনিয়ত আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশ পথ দিয়ে প্লাবিত হয়ে প্রধান সড়ক উপরে এসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। যা আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের প্রাণকেন্দ্র মিশুক ষ্ট্যান্ড হইতে আনসার বাড়ীয়া রেল স্টেশন সড়কেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করছে। এই জলাবদ্ধতার কারণে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, সিএনজি, ব্যাটারী চালিত পাখিভ্যান, আলমসাধু, স্যালোইঞ্জিন চালিত নছিমন, করিমন, পাওয়ারট্রিলার, পিকাপ, ট্রাকসহ অসংখ্য শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া মসজিদের ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এই নোংরা পানি পাড়ি দিয়ে নামাজে যান। তাছাড়া স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থী, সাধারণ পথচারীরা এই নোংরা পানির জলাবদ্ধতার কারণে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। এবিষয়ে পথচারী শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন আ,লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু, ব্যবসায়ী শেখ নাজের আলী, সংবাদপত্র পরিবেশ খাজির আহাম্মেদ, ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম রাজু, মাদরাসা কর্মী মোল্লা মকছেদুর রহমান টিক্কা, শেখ রেজাউল হক রানা ও আব্দুর মজিদ জানান, আমরা বাড়ীর মালিক ও ভাড়াদিয়াকে নোংরা পানি সড়কে আসছে জানিয়ে নোংরা পানি না ছাড়তে অনুরোধ করেছি। এতে কেউ কর্নপাত করেনি। তাছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি মেম্বারকে বিষয়টি অবহিত করেছি কেউ কর্ণপাত করেনি। এলাকাবাসী এই নোংরা পানি বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular