নিউজ ডেস্ক:সরকারের চিত্রা নদীর বুকে খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে দামুড়হুদা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে খনন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের বড় দুধপাতিলা গ্রামের ব্রিজ-সংলগ্ন স্থানে খাল খনন শুরু হয়। নিয়মিত খাজনা প্রদানকারী জমির মালিকদের অনুমতি ছাড়া তাদের আবাদি জমিতে খাল খনন করায় গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে দর্শনা-হিজলগাড়ী সড়কের বড়দুধপাতিলা গ্রামের ব্রিজ-সংলগ্ন স্থানে কয়েক হাজার গ্রামবাসী এ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় খাল খননের এক্সকাভেটর যন্ত্র (ভেকু মেশিন) বন্ধ করে দিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রামবাসীর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন জমির মালিকেরাসহ গ্রামবাসী। সরকারের চিত্রা নদীর বুকে খাল খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে দামুড়হুদা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে খনন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের বড় দুধপাতিলা গ্রামের ব্রিজ-সংলগ্ন স্থানে খাল খনন শুরু হয়। নিয়মিত খাজনা প্রদানকারী জমির মালিকদের অনুমতি ছাড়া তাদের আবাদি জমিতে খাল খনন করায় গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। গতকাল বিকেল ৫টার দিকে দর্শনা-হিজলগাড়ী সড়কের বড়দুধপাতিলা গ্রামের ব্রিজ-সংলগ্ন স্থানে কয়েক হাজার গ্রামবাসী এ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় খাল খননের এক্সকাভেটর যন্ত্র (ভেকু মেশিন) বন্ধ করে দিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে গ্রামবাসীর সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন জমির মালিকেরাসহ গ্রামবাসী। খাল খননের আওতাধীন জমির মালিকেরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক সূত্রে ও ক্রয়সূত্রে এ সব জমির মালিক তাঁরা। সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে এসব জমির নিয়মিত খাজনাও প্রদান করা হয়। এ ছাড়া এসব জমির ক্রয় ও বিক্রয়ের সময় সরকার রেজিস্ট্রি বাবদ টাকাও নেয়। যেহেতু সংশ্লিষ্ট ভূমি-সংক্রান্ত সব বিষয়ে নিয়মিত খাজনা ও রেজিস্ট্রি ফি প্রদান করে আইনানুযায়ী তাঁরা জমির মালিক, সেহেতু জমির মালিকদের অনুমতি ছাড়া আইন বহির্ভূতভাবে কর্তৃপক্ষের খাল খনন করা সম্পূর্ণরূপে আইনবিরোধী বলে জানান এসব জমির মালিকেরা। এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা লোকমার্চার সভাপতি ও উকিল বারের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘চিত্রা নদী খননে সরকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে, আমরা কেউ এ সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে নয়। কিন্তু নদী খননের আওতাধীন যে ব্যক্তি-মালিকানা জমিগুলো রয়েছে সেগুলো সরকার নিতে পারে, তবে তার জন্য ওই সব জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আইন রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমাধান ছাড়া আমরা (গ্রামবাসী) আর এক ফুট জমিও কাটতে দেব না। প্রয়োজনে আমরা মানববন্ধন ও আন্দোলন করব।’ এ ছাড়া গ্রামবাসীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই আইনকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আইনের মাধ্যমে এ সমস্যার মোকাবিলা করব। আইনকে কেউ হাতে তুলে নেবেন না।’ এ ঘটনার আগে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলি ইউনিয়নের বড়দুধপাতিলা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে গোলজার আলী এ খাল খননের আওতাধীন একটি জমির মালিক হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৫(১) ধারায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত পরবর্তী ধার্যকৃত দিন ২৬/২/২০২০ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসকে সরোজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল, কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা বাদে উভয় পক্ষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় অনুলিপি ও আদালতের আদেশ অমান্য করে আইনবিরোধী কেউ কোনো কর্মকাণ্ড করলে অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নোটিশ প্রদান করেন। আগামী ধার্যকৃত দিনের আগেই আদালতের এসব আদেশ অমান্য করায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে গ্রামবাসী ও জমির মালিকেরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরে খনন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম বলেন, আদালত সবার ঊর্ধ্বে। আদালতের আদেশ অমান্য করার সাধ্য কারও নেই। খাল খননের আওতাধীন জমির মালিক আদালতে মামলা করে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এসেছেন। আমাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রত্যেক ঠিকাদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, খাল খননের আওতাধীন কোনো জমি নিয়ে যদি আদালতে মামলা থাকে, তাহলে ওই সব জমির বিষয়ে আদালতে স্থায়ী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত খনন করা যাবে না।’ এ বিষয়ে জানতে খননকাজের ঠিকাদার সেলিমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।