বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠা করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এ জন্য তারা এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দেবে। সেখানে সফটওয়্যার তৈরি, গবেষণা ও উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন, একটি আন্তর্জাতিক মানের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রয়োজনীয় সবকিছুই থাকবে।
প্রকল্পেই অর্থায়ন করবে ভারত। দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশকে ভারত সরকার যে ২০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে, তার মধ্যে ৯ কোটি ডলার বা ৭২০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে আইটি পার্কের জন্য। সেই অর্থ দিয়েই বেজা এ মিরসরাইয়ে ও ঢাকায় আইটি পার্ক দুটি করবে। এ ক্ষেত্রে বেজার অংশীদার হবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার বেজা ও হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য শীগ্রই সমীক্ষা প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানিয়েছেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘মিরসরাইয়ের আইটি পার্ক নিয়ে আমরা বড় করে ভাবতে চাই। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সবকিছু নিয়ে সেটি হবে পূর্ণাঙ্গ আইটি ভিলেজ। ভারত যে ৯ কোটি ডলার দেবে, তার বড় অংশই মিরসরাইয়ে আইটি ভিলেজ তৈরিতে ব্যয় করা হবে।’
আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য বেজা ও হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে গত বছরের অক্টোবর মাসে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। বেজার চেয়ারম্যান বলেন, এ ক্ষেত্রে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অভিজ্ঞতা আছে। তাদের সঙ্গে নিয়ে বেজা বড় এই উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এই পার্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়া হবে। আইটি পার্ক দুটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সমীক্ষা করার অর্থ দেবে বেজা।
গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ১০টি ইকনোমিক জোন উদ্বোধন করেন তার একটি হচ্ছে মিরসরাই। ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে এই জোন ১০ কিমি এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে মেরিনড্রাইভ রোডে এর দূরত্ব হবে ৫৫ কিমি। এ ছাড়া এই নগরীকে কেন্দ্র করে পৃথক সমুদ্রবন্দর করারও সুযোগ রয়েছে, যার অর্থনৈতিক সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।