সেনাপ্রধান বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার (আজ) রাত ৮টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ অনুষ্ঠান হতে পারে। এ সরকারের সদস্য সংখ্যা হতে পারে ১৫। দু-একজন বেশিও হতে পারে।’ এ সরকারের প্রধান হচ্ছেন ড. ইউনূস।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ড. ইউনূস বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশে আসছেন। তাকে আমরা রিসিভ করার জন্য বিমানবন্দরে যাব। তিনি আমাদের কাজকে স্বাগত জানিয়েছেন। আমরা সবাই মিলে তাকে সাহায্য করব।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়েছে। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তিনি বলেন, এই সময়ে যারা লুটতরাজ বা অপরাধ করছেন তাদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সেনাবাহিনী প্রধান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও লুটতরাজ বন্ধে ছাত্ররা ভালো কাজ করছেন। তাদের এই কাজকে আমরা স্বাগত জানাই। তারা যেন এই ভালো কাজগুলো চালিয়ে যান।
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান আরো বলেন, সেনাবাহিনী নিয়ে অনেক গুজব চলছে। কোনো বিষয়েই পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে যেন সেনাবাহিনীকে নিয়ে কেউ সংবাদ প্রকাশ না করে।
সেনাপ্রধান বলেন, পুলিশের পুনর্গঠন চলছে। নতুন পুলিশপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই পুলিশ প্রফেশনালি কাজ শুরু করতে পারবে বলে আশা করি। তিনি বলেন, পুলিশ একটা বিরাট ফোর্স। সেই ফোর্স এখন ডিউটিতে নেই। তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আইনশৃঙ্খলা সামলানোর।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেনাপ্রধান বলেন, সারা দেশে সেনাবাহিনীর টহল চলছে। তারপরও যে লুটতরাজ ও খুনোখুনি হয়েছে সেজন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। সেনাপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কথা দিয়েছিলেন এগুলো হবে না। তারপরও যদি কোনো ব্যর্থতা থাকে সেটা আমার।