নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক নারীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের জাফরের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সকালে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া পশ্চিমপাড়ার মুংলার ছেলে জাফর (৩৫) একই গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্ত রজিনা খাতুনকে (৩০) দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গতকাল সকালে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে জাফর। আহত জরিনা অভিযোগ করে বলেন, জাফর দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। তার ওই প্রস্তাবে আমি রাজি না হওয়ায় সে সুযোগ খুজতে থাকে। গতকাল সকালে তার স্ত্রীর সাথে আমি কথা বলছিলাম এ সময় সে আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে। আমি তার প্রতিবাদ করলে সে আমাকে হাসুয়া দিয়ে কোপ মারে। এ সময় চিৎকার করলে স্থানীয় জনগন ছুটে আসলে সে পালিয়ে যায়। এদিকে, স্থানীয় প্রতিবেশীরা তাকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে।
এ ব্যাপারে জাফরের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার জন্য চেষ্টা করা হলে ফোনটিতে সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে স্থানীয় জনগনের দাবি জাফর প্রায়ই গ্রামের মানুষের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে। তার কথার প্রতিবাদ করলে মারধর করতে থাকে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, রোজিনা খাতুনের আশঙ্কাজনক। তার মাথায়, ঘাড়, ও হাতে কোপের জখম আছে। ঘাড়ে শিরা কেটে গেছে। এ ছাড়াও প্রতিটা কোপের জখম আশঙ্কাজনক বলে জানায় এই চিকিৎসক। তিনি আরো বলেন, আমরা রোজিনা খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলজে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে গতকাল বিকালেই আহতের পরিবার রোজিনা খাতুনকে নিয়ে এ্যাম্বুলেন্সযোগে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গনি মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নতুনপাড়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়টি আমি শুনেছি। জাফরের ভাইয়ের বউ ছিল রজিনা কিন্তু বর্তমানে রজিনা তালাকপ্রাপ্ত তাছাড়া প্রায় জাফরদের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। গতকাল সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাফরের হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে তার ঘাড়ে ও হাতে কোপ মারে, শুনেছি তার হাতের একটি আঙ্গুল কেটে গেছে। তাছাড়া শেষ সংবাদ জানা মতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে তাকে রাজশাহীতে রেফার্ড করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আহত পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে আসামি গ্রেফতার করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।