নিউজ ডেস্ক:
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাধারণ জনগণ যাতে অল্প খরচে সহজে আইনী সহায়তা পেতে পারে তা নিশ্চিত করতে আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আজ এখানে জজকোর্ট প্রাঙ্গণে এক সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে বলেন, ‘অতিরিক্ত অর্থ দাবি করার আগে আইনী সহায়তা প্রার্থীদের আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করুন। কারণ সকল বিচারপ্রার্থী ধনী নয়। ’
রাষ্ট্রপতি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে বিভিন্ন আইনী সহায়তা সেবার ওপর অর্পিত অতিরিক্ত চার্জ কমানোর আহ্বান জানান। তিনি এটিকে দরিদ্র বিচার প্রার্থীদের ওপর বাড়তি বোঝা হিসেবে অভিহিত করেন। কিশোরগঞ্জ জেলা জজকোর্ট আইনজীবী সমিতি এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রাষ্ট্রপতি গত ২৪ এপ্রিল তৃতীয় মেয়াদে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পর এটি তার নিজ শহরে জেলা আদালতে তার প্রথম সফর।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ও স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালনের আগে দীর্ঘদিন আইন পেশায় কাটানো রাষ্ট্রপতি হামিদ আইনজীবীদের আইন পেশার নিয়ম-কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমরা আইনজীবীরা আসলে ক্ষমতা ব্যবহার করি, কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের কর্মকা-ের মাধ্যমে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা সমুন্নত রাখতে হবে।’
রাষ্ট্রপতি হামিদ জুনিয়র আইনজীবীদের আইন পেশার নীতি-নৈতিকতা ও শিষ্টাচার মেনে চলার পরামর্শ দেন, যাতে লোকজন আইনী পরামর্শের ওপর আস্থা রাখতে পারে।
রাষ্ট্রপতি কোন আইনজীবীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ বা তার বিরুদ্ধে দায়ের করা কোন মামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সাধারণত একজন আইনজীবী আরেকজন আইনজীবীর বিরুদ্ধে, এমনকি তিনি দোষী সাব্যস্ত হলেও, লড়তে চান না।
আইন সবার জন্য সমান এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযুক্ত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থীদের আইনী সহায়তায় এগিয়ে আসুন, অন্যথায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল আইনজীবীকে বার কাউন্সিলের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে কঠোর শৃংখলা এবং অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান।
কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট এম এ রশিদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা দায়রা জজ মো. মাহবুবুল ইসলাম এবং বঙ্গভবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সচিবগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।