ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে মানুষের ঢলও। সব মত-পথ যেনো মিশে যাচ্ছে শহীদ মিনারে।
সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক-সমাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ে সকল স্তরের সববয়সী মানুষ শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন।
কেউ নিয়ে এসেছেন ফুলের ডালা। কেউ বা নিয়ে এসেছেন একগুচ্ছ ফুল। এছাড়া সাদা-কালো ব্যানারে লেখা বিভিন্ন প্লেকার্ডে ছেয়ে গেছে পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত (২১ ফেব্রুয়ারি) ১২ টা ১মিনিটে শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরপর বিদেশি কূটনীতিক, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ভাষাসৈনিকরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, মাতৃভাষা আন্দোলনের ৭৩ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। ১৯৫২ সালের এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে তৎকালীন পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর পুলিশ। এতে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বারের বুকের রক্তে রঞ্জিত হয় ঢাকার রাজপথ। তাই এ দিনটিকে শহীদ দিবস বলা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে সারাবিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। তাই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য গৌরবের।
/টিআই