নিউজ ডেস্ক:
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে প্লাস্টিকের তৈরি পণ্যের প্রচ্ছন্ন রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ খাতে সরাসরি রপ্তানি হচ্ছে ১ হাজার কোটির বেশি টাকার পণ্য। আমাদের রপ্তানির তালিকায় প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ১২।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চার দিনব্যাপী ১২তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এবং তাইওয়ানের চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড এ মেলার আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘পরিবেশের ক্ষতি করে, এমন কোনো ধরনের শিল্পায়নের প্রতি আমাদের সমর্থন নেই। ভবিষ্যতেও থাকবে না। যেসব প্লাস্টিক কারখানায় পরিবেশ দূষণকারী বর্জ্য উৎপাদিত হয় সেগুলোতে বাধত্যামূলকভাবে বর্জ্য শোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করতে হবে। এ ব্যাপারে আমাদের সরকার কোনো ছাড় দেবে না।’
বাচ্চাদের খেলনার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে, এ কারণে দুঃখ প্রকাশ করেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। আগামীতে কীভাবে ভ্যাট প্রত্যাহার করা যায় সে বিষয়টি ভেবে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, পাট ও প্লাস্টিকের মধ্য যে দ্বন্দ্ব আছে তা মিটিয়ে ফেলতে হবে। সবাই বসে এর একটা সমন্বয় করা দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে বিপিজিএমইএ সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, পাট এবং প্লাস্টিক কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেই উদ্যোগ নিতে হবে।
এ সময় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন বিপিজিএমইএর সভাপতি।
মেলার আয়োজকরা জানান, এ মেলায় বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের তিন শতাধিক প্লাস্টিক পণ্য, প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং সামগ্রী, যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এতে এশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তা ও বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণের ফলে দেশের প্লাস্টিক শিল্পে পযুক্তি স্থানান্তরের সুযোগ তৈরি হবে। একই সঙ্গে দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে দেশি-বিদেশি ক্রেতারা স্পষ্ট ধারণা পাবেন।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলছে। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।