নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিনে দারুণ শুরুর পরও তামিম-সাকিবের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। দিনের প্রথমে তামিমের ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত এক সূচনা পায় টাইগাররা।
নাথান লায়নের ঘূর্ণিতে তাইজুল ও ইমরুল কায়েস দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় মুশফিক-তামিম জুটি। আর তারই ধারাবাহিকতায় হাফসেঞ্চুরিও তুলে নেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম। অবশেষে ৭৮ রানে তার ইনিংস থামলে মাঠে নামেন সাকিব। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। পরে অনেকটা চাপের মধ্যেই লিড ২০০ পার করেছেন মুশফিক-সাব্বির জুটি।
দিনের শুরুতে দলের রান যখন ৬১ তখন ব্যক্তিগত ৪ রানে করে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন তাইজুল। এরপর স্কোর বোর্ডে মাত্র ৬ রান যোগ করতেই ওয়ার্নারের তালুবন্দী হন ইমরুল কায়েস। তার ব্যক্তিগত সংগ্রহ ২ রান। এরপর মাঠে নামেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। অন্যদিকে, অপরপ্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। ক্যারিয়ারের ২৩তম অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। ১০৩টি বল খেলে ৬টি চার পান তিনি।
অবশেষে ব্যক্তিগত ৭৮ রানে বিদায় নেন তামিম। খেলেছেন ১৫৫ বল, যেখানে ৮টি চারের মার ছিল। প্যাট কামিন্সের বলে ম্যাথু ওয়েড এর তালুবন্দী হন তিনি। দলের সংগ্রহ তখন ১৩৫ রান। এরপর দলীয় রান ১৪৩ তে পৌঁছালে ব্যক্তিগত ৫ রানে বিদায় নেন সাকিব। লায়নের বলে কামিন্সের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৬০ রান। লিড ২০৩ রান।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় ২২ ওভার ব্যাট করে সৌম্য সরকারকে হারিয়ে ৪৫ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের দারুণ বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড পাওয়া স্বাগতিকরা এগিয়ে ৮৮ রানে।
৩০ রানে অপরাজিত প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক পাওয়া তামিম ইকবাল। ধৈর্যের প্রতিমূর্তি যেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। একদমই ঝুঁকি নেননি। ৭০ বলের ইনিংস গড়া দুটি চারে। নিজের কাজে সফল নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম। ৯ বল খেলে নিরাপদে কাটিয়ে দিয়েছেন শেষ সময়টুকু।