নিউজ ডেস্ক:
ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ টেস্টে ভারতের ৪৫৯ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ফলে স্বাগতিক ভারতের থেকে ৩৫৬ রান পিছিয়ে থাকা টাইগারদের পঞ্চম দিনের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নেমে আগের দিনের ২১ রানের সঙ্গে এক রান যোগ করেই সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। এরপর যার ওপর সবচেয়ে বেশি ভরসা ছিল টাইগারদের। আগের ম্যাচের সেই সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারলেন না। অশ্বিনের একটি বল তুলে মারতে গিয়ে ক্যা হয়ে ফিরে যান টাইগার দলপতি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬৮ রান। ৪৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও এবং এক রান নিয়ে সাব্বির রহমান।
এর আগে, চতুর্থ দিনে বিরাট কোহলিদের দেওয়া বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ষষ্ঠ ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের শিকার হন ওপেনার তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত তিন রানে বিরাট কোহলির হাতে ধরা দেন এই টাইগার ড্যাশিং ওপেনার। এরপর দলকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব পড়ে সৌম্য ও মুমিনুলের ওপর। ভালোই খেলছিলেন দু’জন। কিন্তু ৬৬ বলে ব্যক্তিগত ৪২ রানে বিদায় নেন তিনি। এরপরই অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ২৭ রানে ফিরে যান মুমিনুলও। পরের কয়েকটি ওভার নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন সাকিব ও মাহমুদুল্লাহ। যদিও একবার সাকিবকে আউট বলে আঙ্গুল উঁচিয়ে দেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান মারকুটে ব্যাট করতে থাকা সাকিব।
তবে বাংলাদেশের আশার প্রতীক হয়ে উঠা সাকিব সোমবার দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রতিদান দিতে পারেননি। সোমবার শেষ দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। আগের দিনের ২১ রানের সঙ্গে যোগ করেন মাত্র এক রান। এরপর ফিরে গেছেন মুশফিকুর রহিমও (২৩)। প্রথম ইনিংসে ধীর স্থির থাকলেও এদিন অনেকটা আক্রমণাত্বক ছিলেন তিনি। তাই তো তার ২৩ রানের ইনিংসে ২ চারের পাশাপাশি এক ছক্কার মারও রয়েছে।
বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ৩৮৮ রানে অলআউট করে ২৯৯ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে ভারত। এরপর ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে কোহলি। এর আগে, নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছিল টিম ইন্ডিয়া। ফলে ৪৫৯ রানের বিশাল টার্গেট পায় ভারত।
অন্যদিকে, স্বাগতিকদের রান পাহাড়ের জবাবে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৮৮ রানে শেষ হয় টাইগারদের প্রথম ইনিংস। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরিয়ান মুশফিকুর রহিমের উইকেটের মধ্য দিয়ে ২৯৯ রানের বড় লিড পায় স্বাগতিকরা। ২৬২টি বলে ১৬টি চার ও ১টি ছক্কার ১২৭ রানের অসাধারণ দায়িত্বশীল ইনিংস উপহার দেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’।