খেলাধুলা ডেস্ক:শুরু থেকেই বেশ সাবধানী ছিলেন পাকিস্তান ওপেনার আবিদ আলী। তার ব্যাটে ভর করেই বড় সংগ্রহের পথ দেখছিল পাকিস্তান। এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলছিলেন এই ডান-হাতি ব্যাটার।
দ্বিতীয় দিনে শতকের দ্বারপ্রান্তে থেকে দিন শেষ করলেও তৃতীয় দিনে এসে অয়ানায়াসে পূর্ণ করেন শতক। চতুর্থ শতক পূর্ণ করে এগোচ্ছিলেন ডবল শতকের পথেই। তবে কাঁটা হয়ে দাঁড়ালেন তাইজুল ইসলাম।
ব্যক্তিগত ১৩৩ রানের মাথায় প্যাডে লাগলে এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বাঁচতে চেয়েও পারেননি আবিদ। বল হিট করে লেগ স্টাম্পে। লম্বা ইনিংসে আবিদকে খেলতে হয়েছে ২৮২ বল। ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও ২টি ছয়।
এর আগে দ্বিতীয় দিনে বেশ ভুগতে হয়েছিল টাইগার বোলারদের। দুই ওপেনারের একজনকেও সাজঘরে ফেরানো যায়নি গতকাল। ১৪৬ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেছিলেন আবদুল্লাহ শফিক ও আবিদ আলী।
তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই তাইজুল ইসলামের জোড়া শিকারে প্রাণ ফিরে পায় বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ২০৩ রান।
বিরতি থেকে ফেরার পরই এবাদতের আঘাত পাকিস্তান শিবিরে। দলীয় ২০৭ রানের মাথায় মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ৫ রানে ফিরিয়েছেন এলবডব্লুর ফাঁদে ফেলে।
সকালে দিনের শুরুর ওভারে তাইজুল ফেরান ৫২ রানে শফিক আর শূন্য রানে আজহার আলীকে। এরপর মেহেদী হাসানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর আজম (১০)। থিতু হওয়ার আগে ফাওয়াদ আলমকে ৮ রানে ফেরান তাইজুল। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৩০ রান টপকাতে এখনও ১১২ রান লাগে পাকিস্তানের, হাতে আছে ৫টি উইকেট।