নিউজ ডেস্ক:
ডব্লিউডব্লিউই’র আসরে সুন্দরী কুস্তিগীর নামেই পরিচিতি এভা মারিয়ের। মূলত মাথায় লাল চুলের জন্য তাকে ‘রেড হেড’ বলে ডাকা হয়। ডব্লিউডব্লিউই’র আসরে লড়াই করলেও অন্য মহিলা কুস্তিগীরদের মতো মাসলওয়ালা চেহারা নয় এভার। বলতে গেলে, এভার সৌন্দর্যের সঙ্গে সুঠাম শরীরের গঠন বার বারই আকর্ষণ করে ডব্লিউডব্লিউই প্রেমীদের।
কিন্তু যে ভাবে ডব্লিউডব্লিউই’র আসরে যে লজ্জায় পড়তে হলো তাতে চোখ ছানাবড়া সকলের। এর আগে পোশাক খুলে নেওয়ার একাধিক ঘটনা ঘটেছে ডব্লিউডব্লিউই’র আসরে। কিন্তু এসব ঘটনাই হয়েছে লড়াই-এর শেষমুহূর্তে চূড়ান্ত মারপিটের সময়ে। তা বলে কাউকে অর্ধনগ্ন করে দেওয়া হয়নি। একে অন্যের পোশাক টানাটানি করেছেন ডব্লিউডব্লিউই’র কুস্তিগীররা। সে নারী হোন বা পুরুষ প্রতিযোগী— কেউই কারোর থেকে কম যাননি এইসব ঘটনায়।
এভার সঙ্গে যা হল, তা খেলা নয়। বরং এটাকে নোংরামোই বলা যেতে পারে। সাদা আপার কোটে এবং লাল অন্তর্বাসে তখন ডব্লিউডব্লিউই’র আসরে মনমোহিনী হয়ে ওঠেছেন এভা। চারিদিকে শুধুই তার নামের গর্জন। সাদা কোট খুলে রিং-এ অবতীর্ণ হলেন এভা। তৈরি প্রতিপক্ষ। হিংস্র বাঘের মতো সে এভাকে যেন প্রত্যক্ষ করছিল। রূপের ডালি সেজে কুস্তি করতে নামা এভার বোধ হয় এ সব খেয়াল ছিল না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার শরীরের উপর ঝাপিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ নারী কুস্তিগীর। চকিতে সে ছিঁড়ে ফেলে দেয় এভার শরীরের ঊর্ধ্বাংশের পোশাক। তখন অর্ধনগ্ন হয়ে পড়ার পরিস্থিতি এভার। লড়াই ছেড়ে কোনমতে বুকের খুলে পড়া পোশাক হাত দিয়ে চেপে ধরে তখন লজ্জা নিবারণের চেষ্টায় এভা। রেফারি তাড়াতাড়ি একটি সাদা তোয়ালে এনে এভার শরীর ঊর্ধ্বাংশ ঢেকে দেন। এই অবস্থায় কোনমতে রিং থেকে বেরিয়ে আসেন এভা। এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। দর্শকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে ডব্লিউডব্লিউই’র সূত্রে অবশ্য জানানো হয়, এটা নিছক খেলা। মজা করতে এভা এবং তার প্রতিপক্ষ এটা অভিনয় করেছিলেন। অর্থাৎ এভার বুকের পোশাক যে খুলে নেওয়া হবে, তা নাকি আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল ডব্লিউডব্লিউই কর্তৃপক্ষ। এবার দেখুন এভা মারিয়ের সেই ভাইরাল ভিডিও। সূত্র: এবেলা।