নিউজ ডেস্ক:
মরা-বাঁচার ম্যাচে আজ মুখোমুখি ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার যে জিতবে তারাই পৌঁছে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে। হারলে নিশ্চিত বিদায়। গ্রুপ ‘বি’র বাকি দুই দল শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান সোমবার পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলবে। দুই দলেরই পয়েন্ট-২।
পিছনে তাকানোর উপায় আর নেই। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ভুলত্রুটি সামলে নামতে হবে ভারতকে। ফিল্ডিং নিয়ে থাকছে বড় প্রশ্ন চিহ্ন। প্রথম দুটো ম্যাচে অন্তত তিনটে সহজ ক্যাচ ফেলেছেন ভারতীয়রা। রবিবার এরকম ফিল্ডিং করলে তো হয়েছে।
অপরদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা আচমকাই পাকিস্তানের কাছে হেরে কিছুটা চাপে। একদিনের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দল এভাবে হেরে বসবে তা অনেকেই ভাবেননি। তাই ভারত ম্যাচের আগে স্মিথ এবিডিদের ড্রেসিংরুমে গিয়ে ক্রিকেটারদের উদ্ধুদ্ধ করে এসেছেন। মরনি মরকেল, কাগিসো রাবাডারা ভারতকে হারাতে মরিয়া।
দুই দলই ওভালে শনিবার চুটিয়ে অনুশীলন করল। ভারতীয়দের নেটে প্রথমে ব্যাট করতে ঢোকেন ধাওয়ান ও কোহলি। তখনই কানাঘুষো শুরু হয়ে যায় যে রোহিত কী রবিবারের ম্যাচ খেলবেন না? শ্রীলঙ্কা ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লেগেছে রোহিতের।
রবিবারের ম্যাচে রোহিতকে নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রোহিত নিজে কিন্তু খেলার জন্য মরিয়া। টুর্নামেন্টে দুটো ম্যাচেই রোহিত-ধাওয়ান জুটি ওপেনিং জুটিতে ১০০ এর উপর রান তুলেছেন। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে রোহিত খেলতে না পারলে ভারতীয়দের কাছে তা হবে ধাক্কা। তবে রোহিত না পারলে দীনেশ কার্তিককে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেয়েছিলেন কার্তিক।
দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে উঁকি মারলে দেখা যাচ্ছে তারা ‘চোকার্স’ বদনাম ঘোচানোর জন্য মরিয়া। বরাবরই নকআউটে ছিটকে যায় প্রোটিয়ারা। অন্তত একবার ধারা পাল্টাতে চান ডি’ককরা। ভারত ম্যাচে বড় রান করার জন্য মুখিয়ে আছেন অধিনায়ক ডিভিলিয়ার্স। শিবির জানে ভারতকে হারাতে গেলে এবিডিকে রান করতেই হবে।
ওভালের উইকেটে রান আছে। ৩০০ প্লাস রান রবিরারও ওঠা উচিত। সেক্ষেত্রে আগে বা পরে ব্যাট ফ্যাক্টর নয়। বৃষ্টি নামলে অন্য কথা। নাহলে সময়মত শুধু ব্যাটিং গিয়ারটা বদলাতে হবে কোহলি–ধাওয়ানদের।