নিউজ ডেস্ক:
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইতিহাস গড়ে পিএসজিকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা। বুধবার রাতে ন্যুক্যাম্পে পিএসজিকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছেন মেসি-নেইমাররা।
এর আগে প্রথম লেগে ভালোবাসা দিবসে পিএসজির মাঠ থেকে ৪-০ গোলে হেরেছিল লুইস এনরিকের দল।বার্সা কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার ক্ষেত্রে নেইমারের নৈপুণ্য সবচেয়ে বেশি। তিন মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে জয়ের নায়ক এ ব্রাজিলিয়ান তারকা। খেলার ৮৮ মিনিটে তার নেয়া অসাধারণ ফ্রি কিকই বার্সা শিবিরে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস এনে দেয়। আর তিন মিনিট পর পেনাল্টি গোল করে দলের বিশাল ব্যাবধানে জয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। খেলার যোগ করা অতিরিক্ত ৫ মিনিটের শেষ মুহূর্তে নেইমারের বাড়িয়ে দেয়া বলে গোল করেন রবের্তো।
চ্যাম্পিয়ন্স লীগের নকআউট পর্বে প্রথম লেগের চার গোলের ঘাটতি পুষিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার নজির এর আগে কোনো দলের ছিল না।
ঘরের মাঠে ঐতিহাসিক এ জয়ের ম্যাচে তৃতীয় মিনিটে সুয়ারেজের চমৎকার হেডে বল যায় গোলপোস্টে। সেটি পা দিয়ে ফেরান মুনিয়ে। কিন্তু গোল লাইন প্রযুক্তিতে দেখা যায়, বল গোললাইন পেরিয়েছে।
খেলার ৪০তম মিনিটে পিএসজির রক্ষণভাগের ভুলে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় বার্সা। বাঁ-দিক থেকে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ব্যাকহিল করে গোলমুখে বল বাড়ান। ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঠেলে দেন ফরাসি ডিফেন্ডার লেইভিন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লেইভিন নিজেদের ডি-বক্সে নেইমারকে ফেলে দিলে পেনাল্টিটি পায় বার্সেলোনা। পেনাল্টিতে (৫০তম মিনিটে) গোল করেন মেসি।
এবারের আসরে পাঁচবারের বর্ষসেরা তারকার এটি একাদশ গোল। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় তার মোট গোল সংখ্যা ৯৪টি।
৬২তম মিনিটে ম্যাচে ন্যুক্যাম্পকে স্তব্ধ করে দেন কাভানি। ডি-বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শটে টের স্টেগেনকে পরাস্ত করেন উরুগুয়ের এ স্ট্রাইকার। আর পরের গোলসমূহ আসে নেইমার আর রবের্তোর অবদানে।
তবে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখা ফরাসি জায়ান্টদের জন্য সমীকরণটা খুব সহজই ছিল। আজ এক গোল করতে পারলে চার গোলের ব্যবধানে হারলেও শেষ আটে চলে যাবে তারা। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে এক গোল করেছিল তারা। কিন্তু সেটা ৬-১ ব্যবধান হয়ে যাওয়ায় ইতিহাস গড়ে শেষ আটে চলে গেল সুয়ারেজ-মেসি- নেইমাররাই।
দিনের অন্য ম্যাচে পর্তুগালের দল বেনফিকাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। দুই লেগ মিলিয়ে তাদের জয় ৪-১ গোলে। প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতেছিল বেনফিকা।