এসময় বর রফিকুলকে গণধোলাইয়ের শিকারও হতে হয়েছে। দেনমোহরের অর্থ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বরকে উদ্ধার করে থানায় নেয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে শৈলগাড়ি গ্রামের কনের বাড়িতে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রায় আড়াই বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা উপজেলার হাড়গাড়ী গ্রামের আশরাফুল মালিথার ছেলে প্রবাসী রফিকুল ইসলামের সাথে চুয়াডাঙ্গা সদরের মোমিনপুর ইউনিয়নের শৈলগাড়ী গ্রামের এক নারীর বিয়ে হয়।
প্রবাসী বর দেশে ফিরে আসার পর গতকাল শুক্রবার সে বিয়ের আনুষ্ঠানিক আয়োজন চলছিল। কথা ছিল, ১ লাখ ২০হাজার টাকা দেনমোহরের বিনিময়ে সম্পন্ন হবে কাবিন। কিন্তু এতে বাধ সাধে বর পক্ষের লোকজন। তাদের দাবি, ৫ হাজার টাকায় হবে দেনমোহর। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চলে দেনমোহরের অর্থ নিয়ে দর কষাকষি, চলে কথা কাটাকাটি।
এক পর্যায়ে বর রফিকুল বলে বসেন, ‘দরকার হলে দেড় লাখ টাকা দিয়েই কাবিন করবো, কিন্তু আজই টাকা পরিশোধ করে বউ তালাক দিয়ে যাবো।’ এ কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কনেপক্ষ। কনেপক্ষ ও স্থানীয় জনতার রোষানলে পড়ে বরপক্ষ। একপর্যায়ে গণধোলাইয়ের শিকার হয় বর রফিকুল ইসলাম। পরে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসে বরপক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নেয়।
দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা সদর থানার এসআই রাজীব জানান, খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ি থেকে বর ও তার স্বজনদের থানায় নেওয়া হয়। পরে রাতে দু পক্ষের মধ্যে বসাবসির হয়েছে। তারা নিজেরাই মীমাংসা করে নিয়েছেন।