নিউজ ডেস্ক:
একটি মেশিন গত পাঁচ দশকে টাকাপয়সা বহন করার ধারণাটাই আমূল বদলে দিয়েছে। রাস্তার ধারে দাঁড় করানো সরু-লম্বাটে এই একটা মেশিনের ‘জাদু’ ভোল পাল্টে দিয়েছে ব্যাঙ্কিংয়ের প্রচলিত ধারণাই। পোশাকি নাম অটোমেটেড টেলার মেশিন। সংক্ষেপে এটিএম।
যার সূচনা ৫০ বছর আগে। ১৯৬৭-র ২৭ জুন উত্তর লন্ডনের এনফিল্ডে প্রথম এটিএম মেশিনটি বসিয়েছিল বার্কলে ব্যাঙ্ক। সেই মেশিনের সুবর্ণজয়ন্তী পূর্তি উপলক্ষে সোনালী রঙে সাজানো হল এটিএম মেশিনটি। স্কটিশ উদ্ভাবক শেফার্ড ব্যারনের মাথায় প্রথম এসেছিল এটিএম মেশিনের ধারণা। ব্যারন আদতে ছিলেন শিলংয়ের বাসিন্দা। তিনি ব্যাঙ্কনোট প্রিন্টিং স্পেশালিস্ট ছিলেন। এক দিন শুয়ে শুয়ে শেফার্ড ভাবছিলেন যদি চকোলেট ভেন্ডিং মেশিনের মতো টাকা ভেন্ডিং মেশিন থাকত, তা হলে কেমন হত? তবে, এই নিয়ে শোনা যায় আরও নানা রকম গল্প। অনেকে বলেন এক বার নাকি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার খুবই দরকার পড়েছিল ব্যারনের। কিন্তু ব্যাঙ্কে পৌঁছনোর এক মিনিট আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ব্যাঙ্ক। সে দিন খুবই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ব্যারনকে। এর পর থেকেই মাথায় ঘুরতে থাকে কী ভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। অবশেষে শেফার্ডের সেই চিন্তাকেই বাস্তবে রূপ দিয়েছিল বার্কলে ব্যাঙ্ক। এটিএম মেশিন বসানোর পর থেকেই সাধারণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল মিনি ব্যাঙ্কের নতুন এই ধারণাটি। ব্রিটিশ টিভি কমেডি শোয়ের অভিনেতা রেগ ভার্নে প্রথম এই এটিএম মেশিন থেকে টাকা তুলেছিলেন। গতকালই ৫০ বছরে পা দিয়েছে ব্যারনের এই মেশিন। আর সেই কারণেই মেশিনটিকে সোনালী রং করা হয়েছে। লাল কার্পেট বিছিয়ে সাজানোও হয়েছে প্রাচীনতম এই এটিএম মেশিনটি।
সূত্র: আনন্দবাজার।