জানা গেছে, বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে ২০২০ সালের ২রা জানুয়ারী নাটোর জেলা পুলিশের হাতে আটক হয় শেভরন কুমার। পরে পুলিশ শেভরনকে আদালতে সোপর্দ করলে নাটোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক আবু সাঈদ বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে শেভরন কুমারকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড, ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। ২০২১ সালের ১০ই জানুয়ারী শেভরন কুমারের সাজার মেয়াদ শেষ হয়।
নাটোর জেলা কারাগার থেকে শেভরন কুমারকে নেওয়া হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে। শেভরন কুমার মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়া এতদিন পরিবারের খোঁজ না পাওয়ায় ভারতে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে শেভরন কুমারকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের চিত্রসাংবাদিক শামসুল হুদা, শেভরন কুমারের বাবা দেবনাথ ঋষি এবং দুলাভাই ছোটু কুমার উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার সুবেদার জামাল হোসেন, দর্শনা ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই আতিক, দর্শনা থানার এসআই শামীম হোসেন, ডিএসবি সেলিম হোসেন প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে ছিলেন গেঁদে ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসি বিতাশী, গেঁদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ জেসি দে, কাস্টমস সুপার দিলীপ কুমার পাল, রামাতার পি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এসআই পরিভ্রান্ত শিং, ডিআইবি সাধন মন্ডল ও রেডক্রস প্রতিনিধি চিত্তরঞ্জন প্রমুখ।