নিউজ ডেস্ক:
সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ৪৩০ কোটি ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা ব্যয়ে আট ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
এর মধ্যে ৪১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে সরকারি পর্যায়ে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে ২ লাখ টন গম আমদানির প্রস্তাব রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে অনুমোদিত ক্রয়প্রস্তাবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, দেশের খাদ্য মজুদ নিশ্চিত করার জন্য রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে সরকারি (জি-টু-জি) পর্যায়ে দুই লাখ টন গম আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি টন গমের দাম ২৫২ ডলার হিসেবে ২ লাখ টন গম আমদানিতে ব্যয় হবে ৪১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে এ গম আমদানি করা হবে।
তিনি বলেন, বৈঠকে আশুগঞ্জে মেসার্স অ্যাগ্রিকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট লিমিটেড কর্তৃক স্থাপিত ৯৫ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থান পরিবর্তন করে ভোলায় স্থাপনসহ এর মেয়াদ বাড়ানো সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়কমিটি। ভোলায় চার বছর মেয়াদে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় করবে সরকার। আগে কেন্দ্রটি থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ ক্রয় করা হতো ৩ দশমিক ১৩১৩ টাকা। ভোলায় স্থানান্তরের পর কেন্দ্রটি থেকে প্রতি কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ ক্রয়ে ব্যয় হবে ৩ দশমিক শূন্য ৬৮ টাকা।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈঠকে রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ আওতায় ‘রূপকল্প-১’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে সালডা (নর্থ)-১ (রূপকল্প-১) এক্সপ্লোরেশন ওয়েল ড্রিলিংয়ের কার্যক্রমের জন্য প্রকিউরমেন্ট অব এপিআই ক্লাশ ‘জি’ সিমেন্ট, সিমেন্ট এডিটিভস অ্যান্ড সিমেন্টেশন সার্ভিসেস উইথ ইক্যুইপমেন্ট (রেন্টাল)/সিমেন্টেশন ব্যাক-আপ সার্ভিসেস ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৩২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আরো চারটি ক্রয়প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এর মধ্যে ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ আওতায় ‘রূপকল্প-১’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে কসবা-১ (রূপকল্প-১) এক্সপ্লোরেশন ওয়েল ড্রিলিংয়ের কার্যক্রমের জন্য প্রকিউরমেন্ট অব এপিআই ক্লাশ ‘জি’ সিমেন্ট, সিমেন্ট এডিটিভস অ্যান্ড সিমেন্টেশন সার্ভিসেস উইথ ইক্যুইপমেন্ট (রেন্টাল)/সিমেন্টেশন ব্যাক-আপ সার্ভিসেস ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ২ কোটি ৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকা।
বৈঠকে ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ আওতায় ‘রূপকল্প-১’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে কসবা-১ (রূপকল্প-১) এক্সপ্লোরেশন ওয়েলস এর কার্যক্রমের জন্য মাড অ্যান্ড কমপিশন ফ্লুইড কেমিকালস ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব। এ খাতে ব্যয় হবে ৩ কোটি ২০ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
বৈঠকে ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর আওতায় ‘রূপকল্প-৩’ ও ‘রূপকল্প-১‘ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে কসবা-১ (রূপকল্প-৩) এবং সালদা (নর্থ)-১ (রূপকল্প-১) এক্সপ্লোরেশন ওয়েলস এর কার্যক্রমের জন্য ড্রিল বিট ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্যয় হবে ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈঠকে ‘রূপকল্প-২০২১’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’ এর আওতায় ‘রূপকল্প-৩’ ও ‘রূপকল্প-১‘ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে কসবা-১ (রূপকল্প-৩) এবং সালদা (নর্থ)-১ (রূপকল্প-১) এক্সপ্লোরেশন ওয়েলস এর কার্যক্রমের জন্য ড্রিলিং স্টিম টেস্টিং এবং সারফেস টেস্টিং সার্ভিস ক্রয়ের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এ জন্য ব্যয় হবে ২ কোটি ৪৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা।