নিউজ ডেস্ক:
জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে এক নম্বর ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে ৪০ বছরে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ গৃহহীন হবে। দেশের এক-তৃতীয়াংশ সমুদ্রে হারিয়ে যাবে। এর একমাত্র প্রতিষেধক গাছ লাগানো। বৃক্ষ উষ্ণায়নকে প্রতিরোধ করে।
‘৩০ লক্ষ শহীদ স্মরণে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ’ কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সভাপতি, লেখক-সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা শাহরিয়ার কবির এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার কবির বলেন, আমাদের মোট আয়তনের ২৬ ভাগ বনভূমি দরকার। আছে ১১ ভাগের কম। প্রতিবেশী দেশ ভারতের ২২ ভাগ, মিয়ানমারে ৪৮ ভাগ, ভুটানে ৬৯ ভাগ বনভূমি আছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে বছরে ৩০ লাখ গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এসব গাছ হবে শহীদদের নামে। তাহলে গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণে মানুষ যত্নবান হবে। যার জমিতে গাছ লাগানো হবে তিনিই হবেন গাছের মালিক। তবে শর্ত থাকবে ২০-৩০ বছরের আগে ওই গাছ কাটা যাবে না এবং একটি গাছ কাটলে দুটি লাগাতে হবে।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার ইশতিয়াক আহমদ প্রমুখ।
মো. সাহাবউদ্দিন বলেন, আমাদের শহীদ মিনার, বধ্যভূমি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মুক্তিযোদ্ধাসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজনকে নিয়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে। শহীদ স্মরণে গাছ লাগানোর উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তবে গাছগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। ২৫ মার্চ গণভবনে গাছ লাগিয়ে ‘৩০ লক্ষ শহীদ স্মরণে ৩০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ’ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।