নিউজ ডেস্ক:
ব্যবসায়ীদের হয়রানি কমাতে আমদানি-রপ্তানি কিংবা টেন্ডারসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে পুরনো ১১ ডিজিটের বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (বিআইএন) ব্যবহারের সুযোগ থাকছে ৩০ জুন পর্যন্ত।
ফলে যেসব ব্যবসায়ী ৯ ডিজিটের ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) গ্রহণ করেছেন ব্যবসায়ীক স্বার্থে তারাও ১১ ডিজিটের পুরনো বিআইএন নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন।
অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত উভয় বিআইএন নম্বর গ্রহণযোগ্য। তবে ১ জুলাই থেকে কেবল ৯ ডিজিটের নতুন ই-বিআইএন নম্বর গ্রহণযোগ্য হবে।
ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) মো. রেজাউল হাসান সই করা নির্দেশনা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, যারা নতুন বিআইএন নিবন্ধন করেছেন তাদের দুটি নম্বর। এক্ষেত্রে দুই ধরনের নম্বর নিয়ে অনেক কাজেই সমস্যা হচ্ছে। আবার যারা আগে বিআইএন নম্বর নেননি, এখন নিবন্ধন করেছেন তারা ৯ ডিজিটের নতুন ই-বিআইএন ব্যবহার করছেন। তাদের ক্ষেত্রে নতুন নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন নিবন্ধনকারী। দুই ধরনের বিআইন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এনবিআর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এনবিআর থেকে জানা যায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৪৭ জন ব্যবসায়ী ই-বিআইএন রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৯১৭ জন নতুন ই-বিআইএন।
এনবিআর থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে কার্য্কর হতে যাচ্ছে নুতন অনলাইন ভ্যাট আইন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৫ মার্চ থেকে অনলাইন নিবন্ধন কার্য্ক্রম শুরু হয়েছে। যেখানে ১১ ডিজিটের পরিবর্তে ৯ ডিজিটের নতুন ই-বিআইএন দেওয়া হয় নিবন্ধনকৃত ব্যবসায়ীদের। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে বর্তমান ১১ ডিজিটের মূসক নিবন্ধন নম্বর স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর হয়ে পড়বে। আমদানি-রপ্তানিসহ সব কার্যক্রমে অনলাইনে ইস্যুকৃত নতুন ই-বিআইএন ব্যবহৃত হবে। এ অবস্থায় ১৯৯১ সালের মূসক আইনের আওতায় যারা নিবন্ধন নিয়েছেন তাদেরকেও নতুন ই-বিআইএন নিবন্ধন গ্রহণ করতে হবে। তবে বর্তমানে কোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পুনর্নিবন্ধনের মাধ্যমে নতুন ই-বিআইএন গ্রহণ করলেও ৩০ জুন পর্যন্ত পুরনো ১১ ডিজিটের বিআইএন দ্বারাই অন্যান্য সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, যেহেতু ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত উভয় বিআইএন কার্যক্রম থাকছে এবং যেহেতু কাস্টমস সিস্টেম অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন সম্পন্ন হয়েছে সেহেতু অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে উভয় বিআইএন ব্যবহার করে আমদানি-রপ্তানি চালান শুল্কায়ন করতে পারবে অর্থাৎ করদাতা উভয় বিআইএন ব্যবহার করবেন তা দিয়ে শুল্কায়ন কার্য্ক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
চিঠিরে সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত সব দলিল যেমন প্রোফরমা ইনভয়েস, এলসি, কমার্শিয়াল ইনভয়েস, প্যাকিংলিস্ট ইত্যাদিতে ১১ ডিজিটের বিআইএন ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই ৩০ জুন পর্যন্ত ১১ ডিজিটের বিআইএন ও ৯ ডিজিটের ই-বিআইএন সমান্তরালভাবে কার্যকর থাকবে। আমদানি-রপ্তানির ব্যাংক সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রে যেকোনো একটি বিআইএন গ্রহণ করলেই চলবে। একই সঙ্গে ১ জুলাই থেকে শুধু ৯ ডিজিটের ই-বিআইএন ব্যবহার করতে হবে। আর এই নির্দেশনার অনুসরণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হচ্ছে। একই সুবিধা টেন্ডারসংশ্লিষ্ট সব কর্মকাণ্ডে পাওয়া যাবে। আর এ সংক্রান্ত যেকোনো প্রশ্নের জন্য ভ্যাট অনলাইন কান্ট্রাক্ট সেন্টার নম্বর ১৬৫৫৫-এ কল করা যেতে পারে।