ইনিংস হারের শঙ্কা উড়িয়ে ৮১ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। ১০১ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। হাতে ছিল ৬ উইকেট। বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় আজ সারা দিন খেলা হয়েছে মাত্র ৫৭.৫ ওভার। তাতে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১৮২ রান, আর পুরো দিন শেষে টাইগারদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৮৩ রান।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই জয়-মুশফিককে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সপ্তম উইকেট জুটিতে জাকের-মিরাজের ব্যাটে সেই চাপ সামলে লিড নেয় টাইগাররা। তাদের দুজনের ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিলো দল। তবে কেশভ মহারাজের বলে এলবিজডব্লিউ হয়ে জাকের আলি অনিক সাজঘরে ফিরলে ভাঙে তাদের ১৩৮ রানের জুটি।
মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। এরপর বড় লিড পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস হার এড়াতে অন্তত ২০২ রান করতে হতো টাইগারদের। দলীয় ৪ রানের মাথায় পরপর ২ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর ইনিংস হারের শঙ্কা ভালোভাবেই জেঁকে বসেছিল বাংলাদেশ শিবিরে। তবে গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) শেষ বিকেলে মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকের পাল্টা প্রতিরোধে লড়াইয়ে ফেরে স্বাগতিকরা।আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) তৃতীয় দিনের সকালটাও ছিল রীতিমতো দুঃস্বপ্নের। ৭ ওভারেই টাইগারদের ৩টি উইকেট হারিয়ে বসে তারা। স্কোরবোর্ডে ১২ রান তুলতেই ফিরে গেছেন আগের দিনের অপরাজিত জয় ও মুশফিক। আজ আবারও ব্যর্থ হন লিটন দাস। আবারও ইনিংস হারের শঙ্কা মাথাচাড়া দেয়। অবশ্য এবার দেয়াল হয়ে দাঁড়ালেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর জাকের আলী অনিক।দিনের শুরুতে উইকেটের পেছনে কাগিসো রাবাদার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন জয়। এক বল পরই রাবাদার ইনসুইংয়ে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। টেস্টের প্রথম ইনিংসেও মুশফিক অবশ্য এভাবেই বোল্ড হয়েছিলেন। আউট হওয়ার আগে জয়ের ব্যাট থেকে আসে ৪০ ও মুশফিকের ব্যাট থেকে ৩৩ রান।এরপরেই বিদায় নেন লিটন দাস। কেশভ মহারাজের সুইং করা বল লিটনের ব্যাট-গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার হাতে। তাতেই আউট হন লিটন।