বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫

২২ কোটি টাকার কাজে শুভঙ্করের ফাঁকি!

নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহে খানাখন্দেভরা ১১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কোনো নির্দেশনা মানছে না। অভিযোগ উঠেছে, রাস্তা মেরামতকাজের সিডিউলে যে পরিমাণ মালামাল সরবরাহের কথা রয়েছে, সে মোতাবেক ব্যবহার করা হচ্ছে না। বালুর পরিবর্তে বেলে মাটি, পাথরের পরিবর্তে নি¤œমানের পুরোনো ইট ভাঙা খোয়া রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের প্রতি কিলোমিটারের জন্য মেরামত ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। কিন্তু যে ধরনের নি¤œমানের মালামাল সরবরাহ করা হচ্ছে, তাতে অল্প দিনেই এ রাস্তা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে, এমন ধারণা করছেন পথচারীরা।
জানা গেছে, ঝিনাইদহ সওজ বিভাগ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে আল্ হেরা স্কুল ও বাইপাস থেকে বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ২টি সড়কের ১১ কিলোমিটারের রাস্তার মেরামতের জন্য ২২ কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করে। কাজটি পায় মেসার্স আবেদ মনসুর কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত দুই সপ্তাহ ধরে শুরু হওয়া এই কাজে পাথরের পরিবর্তে নি¤œমানের পুরোনো ইটভাঙা খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সড়ক বিভাগের দায়িত্বশীল কেউ কাজের সময় উপস্থিতও থাকেন না। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সালাউদ্দিনের দাবি, অফিসের নির্দেশ মোতাবেকই সব কাজ করা হচ্ছে এবং কাজের মান ভালো।
রাস্তা মেরামতের ব্যাপারে পাগলাকানাই এলাকার বাসিন্দা ও জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘সড়কে যে কাজ হচ্ছে, তা অত্যন্ত নি¤œমানের। এত নি¤œমানের কাজ জীবনে কখনো দেখিনি।’ এলাকার বাসিন্দা রিজু জানান, ‘যেভাবে কাজ হচ্ছে, তা বেশি দিন টেকসই হবে না। সরকারের টাকাগুলো পুরোপুরি গচ্চা যাবে।
এ বিষয়ে এসও আহসানুল কবীর বলেন, ‘রাস্তার কাজে তেমন একটা অনিয়ম হচ্ছে না। তারপরও যদি ল্যাব টেস্টে খারাপ রেজাল্ট আসে, তবে বিল পাবে না। নুতন করে কাজ করে দিতে হবে।’
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার বলেন, ‘অনিয়মের বিষয়ে তাঁদের বারবার বলেছি। কিন্তু তাঁরা কোনো কর্ণপাত করেনি। পরে তাঁদের চিঠিও দিয়েছি।’

Similar Articles

Advertismentspot_img

Most Popular