আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আগামীকাল রোববার (১ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন, যা বেঞ্চের রায়ের জন্য আগামীকাল রোববারের কার্যতালিকায় বিষয়টি ৫৪ নম্বর ক্রমে রাখা হয়েছে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের রায় দেবেন হাইকোর্ট।
এর আগে গত ২১ নভেম্বর এ মামলার ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিল শুনানি শেষ হয়। সেদিন বিষয়টি রায়ের জন্য সিএভি (মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমান) রাখেন আদালত। গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার শুনানি করেন। আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
২১ নভেম্বর মামলার শুনানি শেষ করে আইনজীবী এস এম শাহজাহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কোনো তথ্যপ্রমাণ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে নেই। এ মামলার ১০ হাজার ১২ পৃষ্ঠার পেপারবুকের কোথাও তার সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এটা কোর্ট গ্রহণ করেছেন। আদালত বলেছেন, এটা তারা দেখবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, যেহেতু তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কোনো তথ্যপ্রমাণ নেই সে ক্ষেত্রে তিনি বেনিফিট পাবেন।’
তদন্ত শেষে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর ফলে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২।