নিউজ ডেস্ক:
প্রায় ৫ হাজার চীনা জঙ্গি সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের মতে, পরিবারের সদস্যদের গণনা করলে এই সংখ্যা হবে ২০ হাজার। যাদের অনেকেই আরবিতে কথা বলতে পারে না। এমনকি তারা সিরিয়ায় ঠিক কি করে সেটাও অনেকেরই অজানা। তবে সেদেশের মাটিতে ক্রমশ সংখ্যায় বাড়ছে চীনা জিহাদি। তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টিতে যোগ দিচ্ছে তারা। উইঘুর জঙ্গিদের তৈরি এই সংগঠন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এদের সঙ্গে জঙ্গি-যোগ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খবর কলকাতা টোয়েন্টিফোরের।
২০১১ থেকে অনেক চীনা নাগরিক সিরিয়ায় গিয়েছিল। এদের মধ্যে কেউ যোগ দিয়েছে আল-কায়েদার নুসরা ফ্রন্টে। কেউ আইএসে। আর কিছু চীনা আহরার আল শামের সদস্য। তবে বেশির ভাগই এই তুর্কিস্তান ইসলামিক পার্টিতে রয়েছে। চীনের জিনজিয়াং-এর উইঘুরু মুসলিমরাই সিরিয়ায় গিয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। আপাতত চীনা গোয়েন্দাদের আশঙ্কা একদিন এরাই সিরিয়া থেকে ফিরে এসে হামলা করতে পারে।
বেইজিং-এর দাবি, জিনজিয়াং-কে একটি স্বাধীন প্রদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়ে যে বিক্ষোভ হচ্ছে তাতে জঙ্গিদের সমর্থন রয়েছে। চীনা সরকারের দাবি, এখানকার লোকজন সিরিয়ায় গিয়ে জিহাদিদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই মুসলিম নাগরিকরা আশ্রয়ের খোঁজে অন্য দেশে চলে যাচ্ছে।
গোয়েন্দাদের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সিরিয়ায় রয়েছে ৫০০০ চীনা জঙ্গি। পরিবার নিয়ে সংখ্যাটা ২০ হাজার। গত দু’বছর ধরে এরা বহু আত্মঘাতী হামলাও চালিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত এক বছর ধরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং এই কারণেই সংখ্যালঘুদের উপর নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। জিনজিয়াং প্রদেশ, যেখানে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি সেখানে বিশেষভাবে নজরদারির ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। গত কয়েক বছর ধরে এই অঞ্চলে রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে চীনের কমিউনিস্ট সরকার। উইঘুরের মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করেছে, এর ফলে জাতিগত উত্তেজনা বাড়বে। গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলে জাতিগত দাঙ্গায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে।